১৯ আগস্ট, ২০২৫ | ৪ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২৪ সফর, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

রেঞ্জ অফিসারের লাঠিপেটায় গুরুতর আহত ফরেস্টগার্ড

ইমাম খাইর, কক্সবাজারঃ
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের অধীন ঈদগাঁও ভোমরিয়া বনবিটে কর্মরত আব্দুল আজিজ পাটোয়ারী নামের ফরেস্ট গার্ডকে রাতের অন্ধকারে লাঠিপেটা করেছেন রেঞ্জ অফিসার হাফিজুর রহমান। এমনকি ফরেস্ট গার্ডের মা-বাবাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালমন্দও করেছেন। মারধরের ঘটনাটি কাউকে না জানাতেও নিষেধ করেন রেঞ্জ অফিসার।

১৫ জুলাই দিবাগত রাত ১২ টার দিকে স্টাফ কোয়ার্টারে এ ঘটনা ঘটে।

পরেরদিন সকালে আহত ফরেস্ট গার্ডকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

তিনি হাতে ও বুকে ব্যাপক আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। আঘাতের কারণে তিনি স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারেন না।

এই ঘটনায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভিকটিম আব্দুল আজিজ পাটোয়ারী।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, নতুন বাগান সৃজনে টানা কয়েকদিন কাজের চাপে শারীরিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করেন। ইতোমধ্যে তার ডায়রিয়া শুরু হয়। অসুস্থতা নিয়ে বাসায় পড়ে আছেন। কিছুক্ষণ পরপর বাথরুমে আসা যাওয়ার অবস্থা। ঠিক এমন সময়ে রাত ১২ টার দিকে কক্ষে ঢুকে কিছু বুঝে উঠার আগেই এলোপাতাড়ি লাঠিপেটা করতে থাকে রেঞ্জ অফিসার হাফিজুর রহমান। মারতে মারতে জিজ্ঞেস করেন, এখন ডিউটি কার? গাড়ি কে ছাড়ছে?

ভিকটিম আবদুল আজিজ পাটোয়ারী জানান, অসুস্থতার কথা বললেও কানে নেন নি। এরপরও বকুনি ও ধমকাতে থাকেন। এমনকি মা-বাবাকে তুলে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন রেঞ্জ অফিসার।

কিসের জন্য, কোন অপরাধে এভাবে নির্যাতন করা হলো-কিছুই বুঝতে পারেন নি ফরেস্টগার্ড আবদুল আজিজ পাটোয়ারী।
তিনি জানান, মারধরের খবরটি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট কাউকে জানালে ‘খবর করে ছাড়ব’ বলেও তাকে হুমকি দেন হাফিজুর রহমান।

এ প্রসঙ্গে ভোমরিয়া বিট কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন জানান, করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তিনি রেস্টে আছেন। ঘটনার বিষয়ে অনেকের কাছে শুনেছেন। বিস্তারিত জানেন না।

একইভাবে মারধর ও লাঠিপেটার কথা শুনেছেন বলে জানান সদর রেঞ্জ অফিসার এমদাদুল হক।

স্থানীয়রা বলছেন, সরকারী একজন কর্মকর্তা অপরাধ করলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন। কিন্তু মারধর করার তো আইনগত বিধান বা সুযোগ নাই।

এ প্রসঙ্গে রবিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) তহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। শনিবার নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছেন। অভিযুক্ত এবং ভিকটিম দুইজনের সাথে কথা বলেছেন। ঘটনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।