১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২৪ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক

রামপাল ইস্যুতে ভারতীয় কোম্পানি থেকে বিনিয়োগ তুলে নিল নরওয়ে

রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মানকারি কোম্পানি ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড (বিএইচইএল) থেকে বিনিয়োগ তুলে নিয়েছে নরওয়ের ওয়েলথ ফান্ড। সুন্দরবনের কাছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে পরিবেশগত ক্ষতিসাধনের ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।

নরওয়ের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতি দিয়ে গভর্নমেন্ট পেনশন ফান্ড গ্লোবাল (জিপিএফজি) নামে বিশ্বের বৃহত্তম তহবিলটির বিনিয়োগের তালিকা থেকে ভারতীয় কোম্পানিটিকে বাদ দেওয়ার কথা জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জিপিএফজির পর্যবেক্ষক পর্ষদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন বাংলাদেশের সুন্দরবনের কাছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে বিএইচইএল ‘পরিবেশগত মারাত্মক ক্ষতির’ জন্য দায়ী হওয়ার অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকির মুখে থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে এই বিবৃতির অনেক আগেই নরওয়ের এই তহবিলের মালিকানায় থাকা কোম্পানিটির শেয়ারগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

২০১৫ সালের শেষে বিএইচএলের এক কোটি ৩১ লাখ ডলারের বেশি মূল্যের দশমিক ২ শতাংশ শেয়ারের মালিক ছিল জিপিএফজি। এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই ধীরে ধীরে শেয়ারগুলো বিক্রি করা হয়। এবিষয়ে বিএইচএলের কাছে এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে বাগেরহাটের রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার এই তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না বলে বাংলাদেশ সরকার আশ্বস্ত করে আসছে। কিন্তু সরকার রামপাল নিয়ে অসত্য তথ্য দিচ্ছে অভিযোগ করে ওই প্রকল্প বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটিসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী ও নাগরিক সংগঠন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।