৩০ এপ্রিল, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ, ১৪৩২ | ১ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার

রমজান সামনে রেখে ভোগ্যপণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী

রমজান মাস সামনে রেখে চড়া ভোগ্যপণ্যের বাজার। হুটহাট ওঠানামা করছে বিভিন্ন পণ্যের দাম। এতে অস্থির হয়ে উঠেছে বাজার, দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মধ্যম সারির ব্যবসায়ীরা। ছোলা, চিনি ও রসুনের বাজার ক্রমশঃ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। চাল, ভোজ্যতেল, আটা ও ডালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাছ ও মাংস আগের মতো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে সবজির দাম। দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগিরও।

 

বাজারে, ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ এবং চিনি ৭০-৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া শব-ই-বরাত ইস্যুতে বেড়েছে বুটের ডালের দাম। দাম বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬৫, রসুন ২২০-২৪০ এবং ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৮-৩০ টাকায়। প্রতিকেজি সরু চাল ৫০-৫৬, চাল মাঝারি ৪৬-৫০ এবং মোটা চাল ৪২-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন ৮২-৮৪ পাঁচ লিটারের বোতল ৪৯০-৫২০, মশুর ডাল ৭৫-১৩৫ এবং প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০-৩২ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি গরুর মাংস ৫০০-৫৫০ এবং খাসির মাংস ৬৫০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রোজায় আরও দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন ভোক্তারা।

শুক্রবারের বাজারে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম প্রতিকেজিতে ৫-১০ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। শসা, ঝিঙ্গা, ঢেঁড়শ, টমোটো, বেগুন, করলা, ধুন্দুল, চিচিঙ্গার কেজিপ্রতি বেড়েছে ৫ টাকা। শসা ৪০ টাকা, জিঙ্গা ৬০ টাকা, টমোটো ৪০, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, বেগুন ৫০-৫৫ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ১০০ টাকা, আলু ১৫ থেকে ২০ টাকা, পটোল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, গাজর ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, মিষ্টিকুমড়া প্রতিটি ২০ টাকা, লাউ ৪০-৬০ টাকা, জালি কুমড়া ২৫ টাকা, লেবু হালিতে ৫ টাকা বেড়ে ২০ টাকা, কাঁচকলা ২০-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রমজান মাস শুরুর আগে দাম বাড়ার তালিকায় যুক্ত হয়েছে মাছের বাজারও। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ দাম আরও বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। বাজারে প্রতি জোড়া মাঝারি ইলিশ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, বড় ইলিশ ১৪০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কোরাল মাছ কেজিপ্রতি ৬০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৬৫০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৬০০ টাকা, গুঁড়া চিংড়ি ৪০০ টাকা, বড় তেলাপিয়া ১৫০ টাকা, ছোট তেলাপিয়া ১০০-১২০ টাকা, পাবদা ৫০০ টাকা, রুই ২৪০ টাকা, পাঙ্গাস ১৩০ টাকা, কাতলা ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে রমজান মাসকে সামনে রেখে আগামী ১৫ মে সোমবার থেকে রাজধানীর ৩০টি সহ সারাদেশের ১৮৫টি নির্ধারিত স্থানে ৫টি পণ্য বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

টিসিবির বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, চিনি কেজিপ্রতি ৫৫ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা, মসুর ডাল ৮০ টাকা, খেজুর ১২০ টাকা এবং সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ৮৫ টাকায় বিক্রি হবে।

সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।