১০ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৫ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

মিয়ানমার যেতে পারছেন না টেকনাফের ব্যবসায়ীরা

কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা তিন মাস ধরে মিয়ানমার যেতে পারছেন না। এ কারণে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে পণ্য রপ্তানি প্রায় বন্ধ রয়েছে।

টেকনাফ স্থলবন্দরের অভিবাসন কেন্দ্রের (পুলিশ) উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, গত ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের তিনটি সীমান্ত ছাউনিতে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী তিন দিনের বর্ডার পাস (সীমান্ত অতিক্রমের অনুমতি) অঘোষিতভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।

অভিবাসন কেন্দ্র সূত্র জানায়, গত বছর স্থলবন্দরের অভিবাসন কেন্দ্র কেবল ভ্রমণ কর হিসেবেই ৪৭ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করেছিল। টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে মাসে গড়ে প্রায় ৪ লাখ টাকার ভ্রমণ কর পেত সরকার। প্রতি মাসে গড়ে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ১০০ লোক মিয়ানমারে যাতায়াত করত। কিন্তু তিন মাস ধরে মিয়ানমার সীমান্ত পাস বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকার প্রায় ১২ লাখ টাকার রাজস্ব হারিয়েছে।
স্থলবন্দরের কাস্টমস সুপার আবদুল মান্নান বলেন, প্রতি সপ্তাহে মাছ ও কাঠভর্তি দু-তিনটি কার্গো মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর থেকে টেকনাফ আসছে। প্রতি মাসে আমদানি পণ্যের বিপরীতে সরকারের রাজস্ব আয় গড়ে সাত কোটি টাকা। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে কিছু পণ্য রপ্তানি হলেও মিয়ানমারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে রাজস্ব আয় আরও কমে যেতে পারে। এতে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, ব্যবসায়ীরা মিয়ানমারে যেতে না পারার কারণে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি অনেক কমে গেছে। কিন্তু মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি স্বাভাবিক হলেও আগের চেয়ে ৭০ ভাগ পণ্য রপ্তানি কমে যাওয়া স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন।

এ বিষয়ে টেকনাফ ২ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ বলেন, মিয়ানমার-টেকনাফের মধ্যে বিজিবির তত্ত্বাধানে এক দিনের ট্রানজিট (উভয় দেশের নিকট আত্মীয়স্বজনের কাছে আসা-যাওয়া) চালু ছিল। এটিও তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। মিয়ানমারে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই ট্রানজিট চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। প্রথম আলো

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।