১৮ জুন, ২০২৫ | ৪ আষাঢ়, ১৪৩২ | ২১ জিলহজ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা   ●  উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

মালয়েশিয়ায় ফাঁসির আগে খালাস বাংলাদেশি ওলিয়ার


সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে ফিরলেন মালয়েশিয়া প্রবাসী গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার ছাগলচিরার ওলিয়ার শেখ। উন্নত জীবনের আশায় মালয়েশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জোহর বাহরুতে কাজ শুরু করেন তিনি।
২০১০ সালে সহকর্মী অপর দুই বাংলাদেশিকে হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আটক হন ওলিয়ার শেখ। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১২ সালে এ মামলায় ওলিয়ার শেখকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেয় আদালত।
বিষয়টি সম্পর্কে মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনকে অবহিত করা হলে তৎকালীন প্রথম সচিব (শ্রম) মাসুদুল হাসান ওলিয়ার শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন তিনি নির্দোষ।
পরে বিষয়টি নিয়ে মালয়েশিয়ার উচ্চ আদালতে আইনি লড়াইয়ে নামে বাংলাদেশ হাইকমিশন। কিছুদিন পর মাসুদুল হাসান বদলি হয়ে গেলে এ স্থানে আসেন মুসাররাত জেবিন। তিনিও অক্লান্ত পরিশ্রম করেন ওলিয়ার শেখকে নির্দোষ প্রমাণ করতে।
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ হয়। একই দিন তিনি বেকসুর খালাস পেয়ে জেল থেকে মুক্তি লাভ করেন। ওলিয়ার শেখের পক্ষে আইনি লড়াই করেন মালয়েশিয়ান আইনজীবী রাডজি বিন ইয়াতিমাম।
মুক্তি পেয়েই ওলিয়ার শেখ ছুটে যান বাংলাদেশ হাইকমিশনে। এ সময় তাকে ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে এক আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন ওলিয়ার শেখকে দেশে পাঠাতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। রাতেই তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ওলিয়ার শেখের মামলায় প্রথম থেকেই সঙ্গে থাকা বাংলাদেশ হাইকমিশনে শ্রম কল্যাণ সহকারী হিসেবে কর্মরত মোকছেদ আলী।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।