৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২৪ ভাদ্র, ১৪৩২ | ১৫ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!

মহেশখালী-কক্সবাজার ফেরিঘাট ড্রেজিং না হওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে

মহেশখালীর প্রায় ৪ লক্ষ জনগনের যাতায়তের একমাত্র ফেরিঘাট ড্রেজিং না হওয়ায় প্রতিদিন ভাটাঁর সময় পারাপারে যাত্রীদের চরম দূভোর্গের সম্মূখীন হচ্ছে। প্রতি বছর সরকার এ জেটি থেকে অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব আদায় করলেও জেটিঘাট ব্যাপারে কারো মাথা ব্যথা নেই যার ফলে যাত্রীদের ভোগান্তির মাত্রা দিন দিন বাড়ছে।

জানা গেছে, মহেশখালী উপজেলার গোরকঘাটার পূর্ব পাশে ১৯৮৮ সালে জেটিটি নির্মাণ করা হয়। ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৩.৩ মিটার প্রস্থ জেটিটি নির্মান করার পর দীর্ঘ বছর ধরে সংস্কার করা না হলে ও সম্প্রতি সংস্কার করা হয়েছে। ২০০০ সালে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে জেটি ১০০ মিটার সম্প্রসারন করা হলেও খাল ড্রেজিং না করায় যাত্রীদের কোন কাজে আসছে না। জেটির পার্শ্ববর্তী খাল দিন দিন ভরাট হয়ে যাওয়ায় ভাটার সময় যাত্রীদের চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। কোন উপায় না থাকায় বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে যাত্রীরা ভাটার সময় যাতায়ত করতে হয়। মহেশখালী জেটিঘাটের পাশা পাশি কক্সবাজার জেটিঘাটের অবস্থা আরো করুন। ভূক্তভোগীদের দাবী, যাত্রীরা পারাপারের সময় রাজস্ব দিচ্ছে কিন্তু যাত্রীদের সুবিধার জন্য কোন ব্যবস্থা করেনি। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায় মহেশখালী জেটিঘাট থেকে যাত্রীরা ভাটার সময় নৌকা দিয়ে বোটে বা স্পীট বোটে উঠে এ সময় যাত্রীরা চরম দূর্ভোগে পড়ে।

যাত্রীরা জানান, গুটি কয়েক স্পীট বোট ও কাঠের বোট দিয়ে যাত্রী পারাপার করছে। কাঠের বোট দিয়ে ২৫ টাকা এবং স্পীট বোট দিয়ে পারাপার করলে ৭৫ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হয়। জেটিঘাট ড্রেজিং না হওয়ায় যাত্রীদের পাশাপাশি বিদেশ থেকে আসা পর্যটকরা চরম দূভোর্গের সম্মুখীন হতে হয়। যার কারনে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরের পর্যটক তুলনা মুলক ভাবে কমে গেছে।

ঘাটের এক কর্মচারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জেটিঘাট থেকে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করা হলেও জেটিঘাটটি ড্রেজিং করা হয়নি। যার ফলে ভাটার সময় সাগরের পানি নেমে গেলে যাত্রীরা উঠা নামা করতে দুর্ভোগের সম্মুখীন হয়। জেটিঘাট ড্রেজিং করা অতিব প্রয়োজন।

পৌর কমিশনার সালামত উল্লাহ জানান, এক সময় জেটিটি পযর্টকদের নজর কাড়লেও খাল ড্রেজিং না হওয়ায় আগের মতো পর্যটক আসেনা। বিশেষ করে ভাটা হলে পারা পারের সময় যাত্রীদের সীমাহীন দূর্ভোগ দেখে পর্যটকেরা ভাটার সময় আসতে চায়না।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।