১৬ জুন, ২০২৫ | ২ আষাঢ়, ১৪৩২ | ১৯ জিলহজ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা   ●  উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

মহেশখালীর দুর্গম পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের ৭ আস্তানা ধ্বংস

কক্সবাজার সময় ডেস্কঃ দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর দুর্গম পাহাড়ে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। দুই দিনের অভিযানে কেউ গ্রেফতার না হলেও সন্ত্রাসীদের অন্তত ৭টি আস্তানা ধ্বংস করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার থেকে এ অভিযান শুরু হয়।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার কালারমারছড়ার আঁধারঘোনা, নোনাছড়ি ও মোহাম্মদ শাহ ঘোনার তিনটি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। নোনাছড়ি গ্রামের ব্যবসায়ী আবুল কালাম জানিয়েছেন, এই তিন গ্রামের পশ্চিমাংশের অধিকাংশ লবণের জমি এখন দখলবাজদের নিয়ন্ত্রণে। পাহাড়ি আস্তানা থেকেই সন্ত্রাসীরা দখলবাজি নিয়ন্ত্রণ করছে। এর আগে আঁধারঘোনা, নোনাছড়ি ও মোহাম্মদ শাহ ঘোনার বিভিন্ন আস্তানায় ব্যাপক অভিযান চালায় পুলিশ। এতে তিনটি আস্তানা উচ্ছেদ করে পুলিশ।

কালারমারছড়ার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শাওন দাশ জানিয়েছেন, অভিযান চলবে। কোনো সন্ত্রাসীই ছাড় পাবে না। সন্ত্রাসীদের বিষয়ে কেউ তদবির করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের কয়েকটি আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের সব আস্তানাই চিহ্নিত করা হয়েছে।

হোয়ানকের চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামাল জানান, অন্তত ৫৫ জন পুলিশ সদস্য কালাগাজীরপাড়া পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালান। বর্তমানে মহেশখালী থানার এসআই জহিরের নেতৃত্বে কালাগাজীরপাড়া বাজারে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প কাজ করলেও সম্প্রতি দুটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় এ এলাকায়। এখানে দুটি সন্ত্রাসী বাহিনী সক্রিয় থাকায় হামলা ও পাল্টা হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। ওই এলাকায় পুলিশ কর্মকর্তা এসআই পরেশ কারবারিকেও হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই মামলার আসামিরা পুলিশের ভয়ে পাহাড়ে আস্তানা গাড়ে।

ওই আস্তানা থেকে বের হয়ে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে সপ্তাহখানেক আগে। এর আগে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয় আরেক সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে অবস্থান করে বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি করে আসছিল। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসী। পুলিশ পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে চারটি আস্তানা ধ্বংস করে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।