৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২৪ ভাদ্র, ১৪৩২ | ১৫ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!

মহেশখালিতে নতুন করে ভাঙল সড়ক


মাঝখান থেকে সড়কের আঁধা কিলোমিটার মতো বিলীন। ভাঙা সড়কে বস্তা ফেলে কিছুটা চলাচলের উপযোগী করা হয়েছিল। আরও কিছু দূর এগিয়ে দেখা যায় সড়কের অর্ধেক অংশ নেই। আবার দেখলে মনে হবে যেন এটি একটি সড়ক নয় মৃত্যুকোপ। অসুস্থ রোগী ছাড়া ও ভাল মানুষ পর্যন্ত হাটাঁ যেন দায় এ সড়ক দিয়ে। এক পাশ দিয়ে কোনো রকম জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে লোকজন। এই প্রতিদিনের চিত্র কক্সবাজারের মহেশখালীর চালিয়াতলী-মাতারবাড়ি সংযোগ সড়কের । এ সড়কের আধা কিলোমিটার অংশ তিনমাসের মাসের বেশি সময় হলেও সংস্কার হয়নি। ফলে ভাঙা সড়কে চলাচলে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন মাতারবাড়ী ও ধলঘাট ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ। সিঙ্গাপুরের স্বপ্ন দেখানে মানুষ গুলো চাই যোগাযোগ ব্যবস্থার অমূল্য পরিবর্তন ও টেকসই বেড়িবাঁধ! কিন্তু হচ্ছেনা!
সরকারের বাস্তবায়নাধিন অর্থনৈতিক জোন হিসাবে দেশের সব চেয়ে বড় বাজেটের উন্নয়ন প্রকল্প মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ দিকে এখনো পর্যনÍ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা স্বপ্নের সিঙ্গাপুরের গল্প শুনালেও অনেকটা হতাশ মাতারবাড়ী বাসি। কারন মাতারবাড়ী যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম চালিয়তলী-মাতারবাড়ী সংযোগ সড়ক জন্মলগ্ন থেকেই রোগাক্রান্ত। নির্মানের শুরুতেই পরিকল্পিত ভাবে না হওয়ায় বর্ষাকালে প্লাবিত হয়ে ভাঙনের সৃষ্টি বার বার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এর পর শুরু হয় সংস্কার কাজের নামে ব্যাপক অনিয়ম দূর্ণীতি লুটপাট এমন অভিযোগ স্থানীয় সাধারন মানুষের। সড়ক সংস্কার কাজে বাজেটের অর্ধেক টাকা খরচ করায় ভাঙন শুরু হয়েছে। এটি তো পুকুর চুরিও নয়, সাগর চুরি বলতে হবে ।’ বিগত কয়েক বছর থেকে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু হলে দ্বীপবাসি স্বপ্ন দেখেছিল অন্ততঃ মাতারবাড়ী সংযোগ সড়কের বেহাল দশা থেকে এলাকাবাসী রেহাই পাবে। আর বিশেষ করে সম্প্রতি সরকারের মন্ত্রী সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মাতারবাড়ী সংযোগ সড়কের লন্ডভন্ড অবস্থা সরজমিনে দেখে যাওয়ায় সড়ক যন্ত্রনায় অস্থির মাতারবাড়িবাসি আশায় বুক বেধেছিল। সাধারণ মানুষের দৃঢ বিশ^াস ছিল সড়ক ও সেতু মন্ত্রী দেখে যাওয়ার পর দীর্ঘদিনের সড়ক দূর্ভোগ থেকে মুক্তিপাবে। স্থানীয় নেতৃবৃন্দরাও আশ^স্থ করেছিল খুব শীঘ্রই জরুরী মেরামত কাজ শুরু হবে। কিন্তু এখনো যেই লাউ সেই কদু থেকে গেল। গেল ঈদে ঘরমূখো মানুষের দূর্ভোগ লাগবে জরুরী মেরামতের নির্দেশনা থাকলেও নিয়োজিত ঠিকাদার তেমন কোন কাজ না করায় বাড়ছে ধলঘাটা-মাতারবাড়ীর লক্ষাধিক জনগোষ্ঠির অবর্ননীয় সড়ক দূর্ভোগ। এখনো দিনের পর দিন ভাঙনের পরিধি বাড়তে থাকলেও দেখার যেন কেউ নেই। এছাড়া মাতারবাড়ীতে দুজন জেলা পরিষদ সদস্য এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সরকারদলীয় নেতৃবৃন্দ থাকা সত্বেও মানসম্মত সড়ক মেরামত কাজ না হওয়ায় এতে ক্ষুদ্ধ এলকাবাসী।
এর ফলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে আগামী নির্বাচনে এমনই মনে করেন অনেকেই। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে মাতারবাড়ী সংযোগ সড়কের ব্রিক সলিন এবং গাইডওয়ালসহ আনুসাঙ্গিক মেরামত কাজের জন্য এককোটি সাইত্রিশ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। বিগত দু মাস পূর্বে মাতারবাড়ী সেতু’র পূর্বপাশ থেকে ব্রিক সলিন ও গাইড়ওয়ালের কাজ শুরু হলে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ পরিবেশিত হলেও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ এমন অভিযোগ মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ উল্লাহ’র। প্রায় সময় সড়কটি সাগরের জোয়ারের পানিতে ভেঙ্গে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে লোকজন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মহেশখালী উপজেলা প্রকৌশলী এল জি ই ডি ছৈয়দ জাকির হোসেন দৈনিক আমাদের কক্সবাজারকে জানান, সড়ক দূর্ভোগ লাগবের জন্য ঠিকাদারের মাধ্যমে বালি ভরাট করে পাঁয়ে হেঠে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে বৃষ্টি হওয়ায় নতুনভাবে ভাঙনের স্থানগুলোর কোন কাজ করা যাচ্ছেনা। বৃষ্টির পরে মাটি ভরাটসহ প্রয়োজনীয় সব কাজ করা হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।