১৩ অক্টোবর, ২০২৫ | ২৮ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২০ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”

সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অধ্যক্ষ দিদারের দম্ভোক্তি

ভর্তি বাতিলের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছে কক্সবাজার মডেল পলিটেকনিক

বিশেষ প্রতিবেদক : একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, একজন ছাত্র, কিন্তু ভর্তি ফি ২ বার। কক্সবাজার সদরের ঝিলংজায় অবস্থিত ও একটি ‘বিশেষ’ রাজনৈতিক দলের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের পরিচালনায় পরিচালিত কক্সবাজার মডেল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে এ রকমই অদ্ভুত কান্ড ঘটালেন কলেজ অধ্যক্ষ। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মৌলিক অধিকার শিক্ষাকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই পরিচালিত করছেন। কলেজ অধ্যক্ষ মো. দিদারুল ইসলামের বিরুদ্ধে টাকা নেয়াসহ আরো অহরহ অভিযোগ রয়েছে। সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার শহরের চাউল বাজারস্থ ফুলবাগ সড়কের ব্যবসায়ি ছিং সুই মং ও এখিং এর দ্বিতীয় সন্তান ক্যছিংথোইন। সে এবার কক্সবাজার টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ইলেকট্রিক্যাল বিভাগ থেকে খুব ভাল মানের জিপিএ নিয়ে পাশ করেন। ক্যছিং ও তাঁর মা-বাবার স্বপ্ন ছিল দেশসেরা পলিটেকনিক ‘বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট’ এ অধ্যয়ন করবেন। অনলাইন ভিত্তিক ফরমও পূরণ করেন সরকারি পলিটেকনিকে, পাশাপাশি বেসরকারি পলিটেকনিকে ভর্তির আবেদনও করেন। কিন্তু সরকারি পলিটেকনিকে প্রথম মেধায় তালিকায় নাম না আসায়, বেসরকারি পলিটেকনিক কক্সবাজার মডেল পলিকেটকনিক ইনস্টিটিউটে ২৭ জুলাই ৯৩৪১ রশিদ মূলে ৪ হাজার ২৫০ টাকা প্রদান করে ইলেকট্রিক বিভাগে ভর্তি হয়ে যান ক্যছিং। পরে ২য় মেধা তালিকায় নাম আসায় স্বপ্ন পূরণের জন্য বেসরকারি পলিটেকনিকে ভর্তি বাতিলের চেষ্টা করে। কিন্তু কক্সবাজার মডেল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ দিদার ভর্তি বাতিল করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। অনেক জোর তদবির করার পর ভর্তি বাতিল ও কাগজপত্র ফেরত দিতে রাজি হয় এবং ৯ সেপ্টেম্বর আবেদন করেন ক্যছিং। কক্সবাজার মডেল পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ভর্তি বাতিল করে ভর্তির সময় প্রদানকৃত টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো আরো ৩ হাজার টাকা আদায় করেন। যার রশিদ নং- ১০১০২, তারিখ- ৯ সেপ্টেম্বর। অথচ সরকারি নির্দেশনা রয়েছে ভর্তির সময় প্রদানকৃত টাকা থেকে নুন্যতম খরচের টাকা আদায় করে বাকি টাকা ফেরত দিবেন। কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষ দিদার দম্ভোক্তি করে সরকারি নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। এদিকে, এ রকম ভর্তি বাতিল করা আরো কয়েকজন ছাত্রের সাথে কথা বলে জানা যায়- অধ্যক্ষ দিদার পরিচালনা কমিটিরও তোয়াক্কা না করে এ প্রতিষ্ঠানকে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবেই পরিচালিত করছেন। অধ্যক্ষ দিদার এসব ছাত্রদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়েছেন বলেও জানান তারা। এছাড়া ডিপ্লোমা শেষ করা শিক্ষার্থীদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিংয়ের নামে নানা ধরণের হুমকি ও টাকা আদায় করারও অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি সরকারি নির্দেশনা মতে নির্দিষ্ট দিবস পালন না করারও অভিযোগ আছে। এ ব্যাপারে কক্সবাজার মডেল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পরিচালনা কমিটির এক সদস্য জানান, অধ্যক্ষ দিদারের বিরুদ্ধে এ রকম অহরহ অভিযোগ আছে আমাদের কাছে। কিন্তু গুটি কয়েকজন পরিচালকের বদান্যতায় আস্কারা পেয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন তিনি। এছাড়া অধ্যক্ষ দিদার কলেজের হিসাব গরমিল করে টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ আছে। এ নিয়ে পরিচালনা কমিটির মধ্যেও দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এদিকে, কক্সবাজার মডেল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ দিদার উল্লাহ নিজের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, এ রকম কোন কিছুই নির্দেশনা আমাদের নাই এবং অতিরিক্ত টাকা নেয়াটি ভিত্তিহীন। এছাড়া অধ্যক্ষ দিদার নিজের কুকীর্তি আড়াল করার জন্য কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকার পরিচালক বলেও নিজেকে পরিচয় দেন। কিন্তু খবর নিয়ে জানা গেছে, আসলে তিনি পরিচালক নন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।