দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যতম ডিজিটালাইজ হাসপাতাল লোহাগাড়া মা-মণি হাসপাতালের প্রতিষ্টাতা পরিচালক,পদুয়ার কৃতি সন্তান সমাজসেবক ও দানবীর এম.এ কাশেম সম্প্রতি হাসপাতালকে একটি আধুনকি ও ডিজাটালাইজ হাসপাতালে রুপান্তিত করতে চীন ও ভারত সফর বিষয় নিয়ে ২ মে সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১টায় লোহাগাড়া মা-মণি হাসপাতালের নতুন ভবনের ভিআইপি হল রুমে লোহাগাড়া সাতকানিয়ার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্টিত হয়েছে।হাসপাতালের প্রতিষ্টাতা পরিচালক এম.এ কাশেম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন,প্রথমে তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করেন।তিনি স্বরণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে। তিনি তার বক্তব্যে বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল সোনার বাংলাদেশ গড়ার বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি প্রেস ব্রিফিং এ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব লোহাগাড়ার কৃতি সন্তান মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন বীর বিক্রম পিএসসিকে স্বরণ করেন এবং তার দীর্ঘায়ু ও সুস্হতা কামনা করেন।তিনি বলেন, মানুষের ৫টি মৌলিক চাহিদার মধ্যে চিকিৎসা একটি অন্যতম।চিকিৎসা ব্যতিত কোন মানুষ সুস্হ থাকতে পারেনা।
এম.এ কাশেম কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সাংবাদিকদের জানান,ছোটকালে তার মা ও বাবা বিনা চিকিৎসায় মারা যান।ছোটকাল হতে তিনি স্বপ্ন দেখতেন,মানুষের পাশে কিভাবে দাঁড়ানো যায়।অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জীবনটা সংগ্রাম করে আসছি।আল্লাহর রহমতে যেখানে গিয়েছি সেখানে মানুষের ভালবাসা পেয়েছি।স্বপ্ন দেখতাম মানবতার কল্যাণে কিভাবে এগিয়ে আসা যায়।আমার স্বপ্ন কে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য বিগত ২০০৪ সালের মানবসেবায় কাজ করতে লোহাগাড়া মা-মণি হাসপাতাল প্রতিষ্টা করেছি।২০০৪ সাল হতে ২০১৭ সালের এই পর্যন্ত তার হাসপাতাল নিবিড়ভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তার শ্রদ্ধেয় বড় ভাই নোয়াখালী সরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ আনোয়ারুল হকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমার এতদূর আসা সম্ভব হয়েছে।তিনি তার সহধর্মিণী মিসেস ফরিদা ফারিয়ার আন্তরিকতা, অনুপ্রেরণা ও সাহস দিয়েছেন বলেই তিনি এই পর্যায়ে আসতে সক্ষম হয়েছে।লোহাগাড়া মা-মণি হাসপাতাল কে একটি আধুনিক উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্টার জন্য এবং লোহাগাড়ার সর্বস্হরের জনসাধারণের মাঝে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।লোহাগাড়ার মানুষকে উন্নত চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে তার পরিকল্পনা মোতাবেক ১৮শতক জায়গায় ক্রয় করে ৬ষ্ট তলা বিশিষ্ট হাসপাতালের নতুন দৃষ্টিনন্দন ও নান্দনিক ডিজাইনের হাসপাতালের ভবনের কাজ শেষ পর্যায়ে। তিনি চীন সফর সফর করেছেন কিভাবে মানুষকে উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায়।এবং অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন।চীনের বেশ কয়েকটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।আগামী ১০ তারিখের মধ্যে চীনের একটি মেডিকেল টীম লোহাগাড়া মা-মণি হাসপাতালে পরিদর্শন করবেন বলে জানিয়েছেন।এরপর দুবার ভারত সফর করেছি।ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে পরিদর্শন করেছি।ভারতের ডাক্তার তার হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে আসবেন।তার হাসপাতালের নার্সদের প্রশিক্ষণ দিতে ভারতের হাসপাতাল প্রশিক্ষণ ডাক্তার পাঠাবেন।তার হাসপাতালের সাথে ভারতের তামিল নাড়ো শহরে অবস্হিত রয়েল কেয়ার স্পেশালিটি হসপিটালের সাথে সুন্দর একটি চুক্তি সম্পাদন হয়েছে।লোহাগাড়াকে সারা বিশ্বের কাছে পরিচয় করে দেওয়ার একমাত্র প্রচেষ্টা তার।আগামী রমজানের ঈদের পর ৬ষ্ট তলা বিশিষ্ট নতুন ভবনের শুভ উদ্বোধন করবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।তিনি লোহাগাড়ার সকল সাংবাদিক ও সর্বস্হরের জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।