৩ মে, ২০২৫ | ২০ বৈশাখ, ১৪৩২ | ৪ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন

‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন’ বাতিলে সরকারের প্রতি নোটিশ

‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে’ শর্তসাপেক্ষে কমবয়সী ছেলে-মেয়েদের বিয়ের বিধান রেখে সম্প্রতি সংসদে পাস হওয়া ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন’ বাতিল চেয়ে সরকারের প্রতি আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে। সংসদ সচিবালয়ের সচিব, আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবর নোটিশের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।

সোমবার দুপুরে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ আইনটি বাতিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে হাইাকোর্টে রিট দায়ের করা হবে।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’ চূড়ান্তভাবে পাস করে সরকার।

সংসদে নতুন পাস হওয়া আইনটি সংবিধানের ৭, ১১, ১৫, ২৬, ২৭ ও ৩১ ধারারগুলোর পরিপন্থী উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়েছে, এটি মুসলিম বিবাহ আইন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের পরিপন্থী।

এ আইনের ফলে দেশে বাল্য বিয়ের সংখ্যা আরও বাড়বে। এমনিতেই বাল্য বিয়ের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম সারিতে।
নতুন এ আইনে জনগণ এটি অপব্যবহার করবে বলেও উল্লেখ করা হয়। এতে চরম আকারে নারীদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে বলেও ইউনুছ তার নোটিশে উল্লেখ করেন।

মানবাধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের সমালোচনার মধ্যেই বিশেষ বিধান রেখে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ বিল-২০১৭’ জাতীয় সংসদে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পাস হয় । এ বিল পাসের পাশাপাশি ব্রিটিশ আমলে প্রণীত চাইল্ড ম্যারেজ রেসট্রেইন্ট অ্যাক্ট ১৯২৯ রহিত করা হয়।

বিলটি পাসের জন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ সংসদে উত্থাপন করলে তা সর্বোচ্চ কণ্ঠভোটে পাস হয়। এতে মেয়ে ও ছেলেদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ ও ২১ বছর রাখা হলেও ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে’ তারচেয়ে কম বয়সেও বিয়ে দেয়া যাবে বলে বিধান রাখা হয়েছে।

গত বছর ২৪ নভেম্বর মন্ত্রিসভা আলোচিত এ বিলটির অনুমোদন দেয়। বিলের ১৯ ধারায় বিশেষ বিধান এনে বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অন্যান্য বিধানে যা কিছু থাকুক না কেন, বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোনো বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্তবয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে, আদালতের নির্দেশ এবং মাতা-পিতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতিক্রমে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিয়ে সম্পাদিত হলে তা এই আইনের অধীন অপরাধ বলে গণ্য হবে না।’

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।