বান্দরবানে আওয়ামী লীগের আরো এক নেতাকে অপহরণ করা হয়েছে। রোয়াংছড়ি উপজেলার নুয়াপতং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও পাড়া প্রধান (কারবারি) মংশৈথুই মারমাকে (৫৫) সন্ত্রাসীরা শুক্রবার রাতে বাঘমারা ভেতর পাড়া থেকে অপহরণ করে নিয়ে এ ঘটনার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ অভিযানে নেমেছে।
এদিকে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে স্থানীয় ইউপি সদস্য জনসংহতি সমিতির সমর্থক কেনু প্রু মারমা ও দৈনিক মুক্তবাণী পত্রিকার রোয়াংছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি থোয়াইচা উ মারমাকে আটক করেছে।
রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদু সাত্তার জানান, শুক্রবার গভীর রাতে ৪/৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল বাঘমারা ভেতর পাড়ায় হানা দিয়ে পাড়া কারবারি (প্রধান) ও আওয়ামী লীগের সদস্য মংশৈথুই মারমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই পাড়ার বাসিন্দা বাথুই মং মারমা প্রথমে কারবারিকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা দুজনকে অপহরণ করলেও পরে নবাথুই মারমাকে ছেড়ে দিয়ে কারবারিকে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন গত ইউপি নির্বাচনে প্রার্থিতা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বাঘমারা ভেতর পাড়ায় জনসংহতি সমিতি ও আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় রোয়াংছড়ি থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। জনসংহতি সমিতির দায়ের করা মামলায় অপহৃত পাড়া কারবারি আসামি ছিলেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের দায়ের করা মামলায় জনসংহতি সমিতির সমর্থক ও নেতা কর্মীদের আসামি করা হয়। মামলায় জনসংহতি সমর্থক পাড়ার বাসিন্দা নুশৈ মারমা পরিবারসহ ভয়ে ওই পাড়া ছেড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা ধারণা করছেন এ ঘটনার জের ধরে পাড়া কারবারিকে অপহরণ করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হ্লাথুরী মারমা জানান, ইউপি নির্বাচনের পর থেকে জনসংহতি সমিতির সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছে আওয়ামী লীগের। এ ঘটনার জের ধরে জনসংহতি সমিতির লোকজন পাড়া কারবারিকে অপহরণ করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এর আগে গত ১৩ জুন সন্ত্রাসীরা বান্দরবান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মংপু মারমাকে অপহরণ করে। এখনো তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।