২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ১২ আশ্বিন, ১৪৩২ | ৪ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাইশারীতে অসময়ে বৃষ্টি : ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি


বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে অসময়ে বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে হরিখাইয়া, গর্জই ও ছোট গর্জই খালের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। এখন খালে বাঁধ তৈরী করে জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভবও নয়। এলাকার গরীব চাষীরা নিজেদের অর্থায়নে খালে বাঁধ তৈরী করে জমিতে সেচ প্রদান করতেন। কিন্তু কয়েকদিনের বৃষ্টির ফলে সেই বাঁধ (গোদা) ভেঙ্গে যাওয়ায় দু:চিন্তায় রয়েছেন চাষীরা। পাশাপাশি বিকল্প ব্যবস্থা অবলম্বনের চেষ্টাও করছেন কেউ কেউ।
চাষী আব্দু সালাম বলেন, শুকè মৌসুমে আশি শতক জমিতে ধান চাষ করেছেন। তাতে পানি খরচ পড়েছে প্রায় চার হাজার টাকা। বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় পূনরায় বাঁধ তৈরী করে পানি দেওয়ার সময়ও নেই। এখন জমিতে লাভের বদলে লোকসানের আশংকা করছেন তিনি। তরমুজ চাষী ফরিদুল আলম বলেন, হঠাৎ বৃষ্টিতে তার তরমুজ ক্ষেতে পানি জমে থাকায় সব তরমুজ পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রাবার বাগান মালিকরা বেশ ফুরফুরে রয়েছেন। তাদের একদিকে উৎপাদন বন্ধ থাকলেও প্রখর রোদ্রে পাহাড়ে বৃষ্টি হওয়ায় অগ্নিপাতের হাত থেকে রেহাই পেয়েছে বলে জানালেন তারা।
অন্য দিকে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ফুলঝাড়– ব্যবসায়ীরাও। তারা প্রায় অর্ধ কোটি টাকা লোকসানের আশংকা করছেন তারা। অসময়ের বৃষ্টিতে রক্ষিত থাকা ফুলঝাড়– গুলো শুকাতে গিয়ে মাঠেই ভিজে একাকার হয়ে যায়। প্রতি বছর জানুয়ারী থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পাহাড়ে প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো ব্যবসায়ীক পণ্য হিসেবে পরিচিত ফুলঝাড়– আহরন করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন বাইশারীর শত শত সাধারন লোকজন। অগ্রীম টাকা দিয়ে ব্যবসায়ীরা এসব কাঁচা অবস্থায় ফুলঝাড়– ক্রয় করেন এবং ফুলঝাড়– গুলো শুকানোর পর বাহিরে রপ্তানী করা হয়।


সরজমিনে দেখা যায়, বাইশারী বাজারের দক্ষিন পার্শ্বে লীজ নেওয়া বিশাল আকার জমিতে ফুলঝাড়–র স্তুপ পানির নিচে। উপরে পলিথিন দিয়ে মাড়িয়ে রাখলেও নিচে পানি থাকায় ফুলঝাড়– গুলো বাহিরে রপ্তানী যোগ্য নয়। কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে যায়, লাগাতার বৃষ্টিতে ফুলঝাড়– গুলো শুকানো সম্ভব নয়। তাই লোকসান হবে এ কথা মাথায় নিয়েই ব্যবসা চালিয়ে যতে হবে। তবে এতে ব্যবসায়ীরা বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতির আশংকা করছেন। একদিকে প্রতিদিনের শ্রমিকের খরচ অপরদিকে ব্যবসায়ী পুঁজি। সব গচ্ছা যাবে বলে জানান তারা।
ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন, ইয়াছিন ও শাহিদুল হক বলেন, প্রকৃতির সাথে তো আর লড়াই করা যাবে না। ক্ষতিটা মেনে নিতেই হবে। লাভের আশা না করে বরং কিভাবে পুঁজি ঠিক রাখা যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। ব্যবসায়ীরা এই অসময়ের বৃষ্টি ব্যবসায়ীক ভাবে বাইশারীতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতির আশংকা করছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।