৩০ এপ্রিল, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ, ১৪৩২ | ১ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার

বাংলার পাখিদের রাজা ফিঙ্গে

 


ফিঙ্গে গ্রামাঞ্চলে খুব পরিচিত একটি পাখি।এক সময় আমাদের গ্রামে ফিঙ্গে পাখিটি খুবই বেশী দেখা যেত এখও শহরে কিছু কিছু দেখা যায়। বাংলার শহর এলাকায় এটি রাজকীয় কাক নামেও পরিচিত। ফিঙ্গের গায়ের কালো রং আর দু’ভাগ করা লেজ দিয়ে একে সহজেই চেনা যায়। প্রায় সময়ই কোন গরু বা মহিষের পিঠের উপর লম্বা লেজ ঝুলিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। পুরুষ ও স্ত্রী ফিঙ্গে সহজে আলাদা করা যায় না।
আমাদের গ্রামের সবচেয়ে পরিচিত পাখিদের মধ্যে একটা হল ‘ফিঙ্গে’। সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার দেখেছি এরা সন্ধ্যের অন্ধকারে বা রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের আলোতেও পোকা শিকার করে। ভয়ডর নেই একদম!! আমাদের গ্রামের আঞ্চলিক ভাষাই এইকে ”দেচ্ছা পাইখ” নামে পরিচিত। ছোট বেলায় শুনেছি এলাকার বুড়াবুড়িদের কাছে পাখিদের রাজা হল ফিঙ্গে (দেচ্ছা পাইখ)।এ রাজা পাখিটির সামনে এসে যে কোন পাখি শিকার করতে আসলে ফিঙ্গে পুরুষ আর স্ত্রী পাখিটি মিলে দু-দিক থেকে এমন ভাবে আক্রমন করে শেষ পর্যন্ত পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পাখিদের মধ্যে ফিঙ্গের সাথে বেশী শত্রুতা হল কাক পাখি আর ঈগল ।কালো ফিঙ্গের এলাকায় যখন কালো কাক আর ঈগল পাখি হঠাৎ চলে আসে তখনই পুরুষ ও স্ত্রী পাখি দুটি এক সাথে ডানা দিয়ে এমন ভাবে আঘাত করে যতই বড় পাখি হউক না কেন এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়।
ফসল বাঁচায় কৃষকের বন্ধু ফিঙ্গে পাখি।বিভিন্ন জায়গায় ফিঙ্গে কে (হ্যাচ্ছা পাখি ) বলে।ফসল রক্ষার জন্য ফিঙ্গের আগমন অসাধারণ সাফল্য পেয়ে থাকে কৃষকেরা।এ কারণে গ্রামাঞ্চলে কৃষকের প্রিয় পাখি ফিঙ্গে।তাই ফসলি জমিতে ক্ষেতে ক্ষেতে ফিঙ্গে বসার জন্য দেয়া হচ্ছে খুঁটি বা বাঁশের শক্ত কঞ্চি পুতে দেয়া হয়।যেন কঞ্চিতে বসে পাখি ক্ষেতের মাজরা পোকাসহ বিভিন্ন পোকার মথসহ ক্ষতিকর অন্যান্য সকল পোকা খেতে পারে।ক্ষতিকর পোকা দমনে এক সময় জমিতে ব্যাপকভাবে কীটনাশকের ব্যবহার করা হতো।এখন কৃষকেরা নতুন পদ্ধতিতে কীটনাশক ছাড়ায় পোকামুক্ত করে জমির ফসলে।যার ফলে আগের চেয়ে ফসল বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন ।কৃষকের মনেও আনন্দ কম খরচে জমির ফসল ঘরে তুলতে পারায়।পাখি শিকারিরাও ফিঙ্গে পাখিকে ভাল বাসে সহযে আঘাত করেনা।তাই ফিঙ্গে মানুষের কাছে আসতে ভয় পায়না।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।