২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১২ পৌষ, ১৪৩২ | ৬ রজব, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দুই দিন ধরে নিখোঁজ প্রবাল নিউজের প্রতিবেদক জুয়েল হাসান, থানায় জিডি   ●  গ্রামে গ্রামে আনন্দের স্রোত   ●  সিবিআইউ’র আইন বিভাগের ১৭তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  ক্ষোভ থেকে হত্যার ছক আঁকেন অপরাধী চক্র   ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

বাংলার পাখিদের রাজা ফিঙ্গে

 


ফিঙ্গে গ্রামাঞ্চলে খুব পরিচিত একটি পাখি।এক সময় আমাদের গ্রামে ফিঙ্গে পাখিটি খুবই বেশী দেখা যেত এখও শহরে কিছু কিছু দেখা যায়। বাংলার শহর এলাকায় এটি রাজকীয় কাক নামেও পরিচিত। ফিঙ্গের গায়ের কালো রং আর দু’ভাগ করা লেজ দিয়ে একে সহজেই চেনা যায়। প্রায় সময়ই কোন গরু বা মহিষের পিঠের উপর লম্বা লেজ ঝুলিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। পুরুষ ও স্ত্রী ফিঙ্গে সহজে আলাদা করা যায় না।
আমাদের গ্রামের সবচেয়ে পরিচিত পাখিদের মধ্যে একটা হল ‘ফিঙ্গে’। সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার দেখেছি এরা সন্ধ্যের অন্ধকারে বা রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের আলোতেও পোকা শিকার করে। ভয়ডর নেই একদম!! আমাদের গ্রামের আঞ্চলিক ভাষাই এইকে ”দেচ্ছা পাইখ” নামে পরিচিত। ছোট বেলায় শুনেছি এলাকার বুড়াবুড়িদের কাছে পাখিদের রাজা হল ফিঙ্গে (দেচ্ছা পাইখ)।এ রাজা পাখিটির সামনে এসে যে কোন পাখি শিকার করতে আসলে ফিঙ্গে পুরুষ আর স্ত্রী পাখিটি মিলে দু-দিক থেকে এমন ভাবে আক্রমন করে শেষ পর্যন্ত পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পাখিদের মধ্যে ফিঙ্গের সাথে বেশী শত্রুতা হল কাক পাখি আর ঈগল ।কালো ফিঙ্গের এলাকায় যখন কালো কাক আর ঈগল পাখি হঠাৎ চলে আসে তখনই পুরুষ ও স্ত্রী পাখি দুটি এক সাথে ডানা দিয়ে এমন ভাবে আঘাত করে যতই বড় পাখি হউক না কেন এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়।
ফসল বাঁচায় কৃষকের বন্ধু ফিঙ্গে পাখি।বিভিন্ন জায়গায় ফিঙ্গে কে (হ্যাচ্ছা পাখি ) বলে।ফসল রক্ষার জন্য ফিঙ্গের আগমন অসাধারণ সাফল্য পেয়ে থাকে কৃষকেরা।এ কারণে গ্রামাঞ্চলে কৃষকের প্রিয় পাখি ফিঙ্গে।তাই ফসলি জমিতে ক্ষেতে ক্ষেতে ফিঙ্গে বসার জন্য দেয়া হচ্ছে খুঁটি বা বাঁশের শক্ত কঞ্চি পুতে দেয়া হয়।যেন কঞ্চিতে বসে পাখি ক্ষেতের মাজরা পোকাসহ বিভিন্ন পোকার মথসহ ক্ষতিকর অন্যান্য সকল পোকা খেতে পারে।ক্ষতিকর পোকা দমনে এক সময় জমিতে ব্যাপকভাবে কীটনাশকের ব্যবহার করা হতো।এখন কৃষকেরা নতুন পদ্ধতিতে কীটনাশক ছাড়ায় পোকামুক্ত করে জমির ফসলে।যার ফলে আগের চেয়ে ফসল বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন ।কৃষকের মনেও আনন্দ কম খরচে জমির ফসল ঘরে তুলতে পারায়।পাখি শিকারিরাও ফিঙ্গে পাখিকে ভাল বাসে সহযে আঘাত করেনা।তাই ফিঙ্গে মানুষের কাছে আসতে ভয় পায়না।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।