৭ নভেম্বর, ২০২৫ | ২২ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৫ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নালিশ করবেন মমতা

নদীর পানি দূষণ ও নদীর ওপর বাঁধ দেয়ায় পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা শুকাচ্ছে। মরে যাচ্ছে নদী। বাংলাদেশের ফেলা আবর্জনায় দূষণ বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গের চুর্নি নদী, মাথাভাঙা নদীতে।

এমন অভিযোগ তুলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নালিশ জানাবে মমতা ব্যানার্জি সরকার। শুক্রবার রাজ্যের নদীয়া জেলায় এসে প্রশাসনিক বৈঠকে এই কথা ঘোষণা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা নদীর দূষণকে হাতিয়ার করতে চলেছেন মমতা। বাংলাদেশের সঙ্গে নদীভিত্তিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মমতার পর এবার তার দল তৃণমূলের এক বিধায়ক বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করা নদীর দূষণ নিয়ে মুখ খুললেন।

শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে মমতা ব্যানার্জির প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত থেকে নদীয়ার কিষেনগঞ্জ বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাস বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করা নদীগুলির দূষণ নিয়ে সরব হন। সত্যজিত বিশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছে নালিশ জানান, বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করা চুর্নি নদী, মাথাভাঙা নদী থেকে প্রচণ্ড হারে দূষণ ছড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের চারটি বিধানসভার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত বাংলাদেশ থেকে আসা চূর্ণি নদী ও মাথাভাঙা নদী থেকে প্রচণ্ড হারে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আগে বাংলাদেশ থেকে বছরে একবার জল ছাড়া হতো। কিন্ত এখন প্রতি মাসে জল ছাড়ছে বাংলাদেশ। ফলে দূষণের মাত্রা যেমন ছড়াচ্ছে তেমনি দুর্গন্ধে টেকা যাচ্ছে না। এই বিষয়ে মমতাকে একটা কিছু করার অনুরোধ করেন তিনি।

দলীয় বিধায়কের এই অভিযোগ শোনার পর মমতা বলেন, চূর্ণি, আত্রেয়ী, পুনর্ভবা থেকে শুরু করে নদীগুলোর বিষয়ে আমরা বারবার বলেছি। এবারে রাজ্যের সিএফ’কে (চিফ সেক্রেটারি) বলব বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য। স্বভাবতই বাংলাদেশকে তিস্তার জল দিতে অস্বীকার করার পর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের চাপের মুখে থাকা মমতা ক্রমাগত বাংলাদেশ থেকে আসা আত্রেয়ী নদী কিংবা চূর্নী নদী নিয়ে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়ানোর জন্য কোমর বাঁধছেন।

এদিন বৈঠকে মমতা বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা নদীর দূষণের ব্যাপারে এর আগে অনেকবার বলেছি। এবারও বলব। তবে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, স্বভাবতই এই ব্যাপারে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকেই অভিযোগ জানাবেন তিনি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।