২১ জুলাই, ২০২৫ | ৬ শ্রাবণ, ১৪৩২ | ২৫ মহর্‌রম, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নালিশ করবেন মমতা

নদীর পানি দূষণ ও নদীর ওপর বাঁধ দেয়ায় পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা শুকাচ্ছে। মরে যাচ্ছে নদী। বাংলাদেশের ফেলা আবর্জনায় দূষণ বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গের চুর্নি নদী, মাথাভাঙা নদীতে।

এমন অভিযোগ তুলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নালিশ জানাবে মমতা ব্যানার্জি সরকার। শুক্রবার রাজ্যের নদীয়া জেলায় এসে প্রশাসনিক বৈঠকে এই কথা ঘোষণা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা নদীর দূষণকে হাতিয়ার করতে চলেছেন মমতা। বাংলাদেশের সঙ্গে নদীভিত্তিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মমতার পর এবার তার দল তৃণমূলের এক বিধায়ক বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করা নদীর দূষণ নিয়ে মুখ খুললেন।

শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে মমতা ব্যানার্জির প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত থেকে নদীয়ার কিষেনগঞ্জ বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাস বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করা নদীগুলির দূষণ নিয়ে সরব হন। সত্যজিত বিশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছে নালিশ জানান, বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করা চুর্নি নদী, মাথাভাঙা নদী থেকে প্রচণ্ড হারে দূষণ ছড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের চারটি বিধানসভার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত বাংলাদেশ থেকে আসা চূর্ণি নদী ও মাথাভাঙা নদী থেকে প্রচণ্ড হারে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আগে বাংলাদেশ থেকে বছরে একবার জল ছাড়া হতো। কিন্ত এখন প্রতি মাসে জল ছাড়ছে বাংলাদেশ। ফলে দূষণের মাত্রা যেমন ছড়াচ্ছে তেমনি দুর্গন্ধে টেকা যাচ্ছে না। এই বিষয়ে মমতাকে একটা কিছু করার অনুরোধ করেন তিনি।

দলীয় বিধায়কের এই অভিযোগ শোনার পর মমতা বলেন, চূর্ণি, আত্রেয়ী, পুনর্ভবা থেকে শুরু করে নদীগুলোর বিষয়ে আমরা বারবার বলেছি। এবারে রাজ্যের সিএফ’কে (চিফ সেক্রেটারি) বলব বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য। স্বভাবতই বাংলাদেশকে তিস্তার জল দিতে অস্বীকার করার পর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের চাপের মুখে থাকা মমতা ক্রমাগত বাংলাদেশ থেকে আসা আত্রেয়ী নদী কিংবা চূর্নী নদী নিয়ে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়ানোর জন্য কোমর বাঁধছেন।

এদিন বৈঠকে মমতা বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা নদীর দূষণের ব্যাপারে এর আগে অনেকবার বলেছি। এবারও বলব। তবে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, স্বভাবতই এই ব্যাপারে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকেই অভিযোগ জানাবেন তিনি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।