২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১৪ পৌষ, ১৪৩২ | ৮ রজব, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  অসহায় শিশুদের জন্য শীতকালীন বস্ত্র উপহার দিল স্টুডেন্টস’ প্ল্যাটফর্ম   ●  মানবিক কাজে বিশেষ অবদান; হাসিঘর ফাউন্ডেশনকে সম্মাননা প্রদান   ●  দুই দিন ধরে নিখোঁজ প্রবাল নিউজের প্রতিবেদক জুয়েল হাসান, থানায় জিডি   ●  গ্রামে গ্রামে আনন্দের স্রোত   ●  সিবিআইউ’র আইন বিভাগের ১৭তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  ক্ষোভ থেকে হত্যার ছক আঁকেন অপরাধী চক্র   ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন

বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৭ জনের মৃত্যু

ফরিদপুরে আজ সোমবার কয়েকটি বজ্রপাতের ঘটনায় মা-ছেলেসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
সালথা উপজেলায় মা-ছেলেসহ তিনজন, বোয়ালমারীতে দুইজন, সদর ও চরভদ্রাসন উপজেলায় একজন করে নিহত হয়েছে। এ সব ঘটনায় আহত হয়েছে তিনজন।
এর আগে রোববার বিকেলে এই জেলায় বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এই নিয়ে দুই দিনে মৃতের সংখ্যা দাড়ালো ১২ জনে।
ফরিদুপরের সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. ফায়েকুজ্জামান জানান, সকালে বজ্রপাতে ভাবুকদিয়া গ্রামের গৃহবধূ হেলেনা বেগম ও তার শিশুপুত্র হেলাল মারা যায়। এ ছাড়া মো. মিলন নামে আরো একজন মাঠে কাজ করার সময় নিহত হয়েছে।
বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে বজ্রপাতে দুইজন নিহত হয়েছে। এরা হলেন মোল্যাপাড়া জামে মসজিদের ইমাম আওয়াল ফকির (৪৮) ও একই গ্রামের উত্তরপাড়া ফরহাদ মোল্যা (৩৫)। এ সময় একটি গরু মারা যায়।
চরভদ্রাসনের ছমির ব্যাপারীর ডাঙ্গী এলাকায় জমিতে তিনজন দিনমজুর কাজ করার সময় বজ্রপাত হলে কাবুলের মৃত্যু হয়। কাবুলের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়। এ ঘটনায় দুইজন আহত হয়েছে। তাদের চরভদ্রাসন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান জানান, কবিরপুরে খেয়াঘাট এলাকায় বজ্রপাতে দিনমজুর মো. ওমর আলীর (৪৫) মুত্যু হয়েছে। তার বাড়ি নাটোর জেলায়। এ সময় আরেক দিনমজুর আহত হয়েছে।
এর আগে রোববার বিকেলে চরভদ্রাসন উপজেলায় একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচজন বজ্রপাতে নিহত হয়।
ফরিদপুরে সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। থেমে থেমে বর্ষণের সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।
ফরিদপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ সুরজুল আমিন জানান, দিনভর থেমে থেমে ভারি ও মাঝারি বর্ষণের সঙ্গে বিদ্যুৎ চমকানি ও বজ্রপাত হয়েছে। তিনি জানান, মঙ্গলবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জি এম আব্দুর রউফ জানান, বৃষ্টিতে মাঠের ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। সবজি জাতীয় পণ্যের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তিনি জানান, ব্যাপকভাবে বিদ্যুৎ চমকানোর কারণে মাটিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বেড়ে গেছে, যা ফসলের জন্য প্রয়োজন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।