২৫ অক্টোবর, ২০২৫ | ৯ কার্তিক, ১৪৩২ | ২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

ফুলছড়ি নদীর গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে গোমাতলী রাজঘাটপাড়া

কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের উত্তর গোমাতলী ৭ নং ওয়ার্ড রাজঘাট পাড়া ফুলছড়ি নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। প্রতিদিন জোয়ারের পানি অনুপ্রবেশ করার কারণে এলাকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। যে কারনে রাজঘাট পাড়ার মানুষ গত ১০ মাস ধরে নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে মসজিদ কবরস্থান ও রাজঘাট। জোয়ার ভাটার কারনে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া বেঁড়িবাধটি দীর্ঘদিন মেরামত না করায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ জানতে গিয়ে দেখা গেছে, পাড়ার দু’ শত ফুট বেঁড়িবাধ সংস্কার না হওয়ায় এলাকাবাসী মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। এলাকাবাসী ভাঙ্গনরোধে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম রহিম উল্লাহ ও সদর রামু আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নদী ভাঙ্গনের শিকার রাজঘাট পাড়ার বাসিন্দা নুরুল হুদা ও ব্যবসায়ী জামাল উদ্দীন জানান, পূর্ণিমার জোর প্রভাবে ফুলছড়ি নদীর রাজঘাট পাড়ার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। ভয়াবহ ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে আরো অনেক বসত ঘর হারিয়ে যাবে নদীর গর্ভে। গত কয়েক দশকে ফুলছড়ি নদী তীরের রাজঘাট পাড়ার বাসিন্দা আবদুল মোনাফ, জাফর আলম, মো: ইসমাঈলের বসত ঘর হারিয়ে গেছে। তাদের মধ্যে অনেকে বসত ঘর হারিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাযাবর জীবন যাপন করছে।
তারা আরো জানান, ফুলছড়ি নদী খরস্রোত হওয়ায় ভাঙ্গন দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে। সরকারী সাহায্যের দিকে তাকিয়ে না থেকে এলাকাবাসী ভাঙ্গন প্রতিরোধে কিছুদিন আগে বাধ নির্মাণ করেন। কিন্ত জোয়ারের তীব্রতায় তাও ভেসে গেছে। জোয়ারের পানির কারনে ওই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ যেন পিছু ছাড়ছেনা। প্রতিদিন জোয়ারের পানি উলেখিত এলাকার বসতঘর ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিগত কয়েক বছর পূর্বে গোমাতলী সমবায় কৃষি ও মোহাজের উপনিবেশ সমিতি ও এলাকাবাসির অর্থায়নে রাজঘাট পাড়ার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। সে থেকে সরকারী কোন বরাদ্ধ জুটেনি। ফুলছড়ি নদীর পাশে অবহেলিত এ গ্রামটি স্বাধীনতার পর থেকে নানা অবহেলায় রয়েছে। গ্রামের বাসিন্দারা কয়েক দপে চাঁদা দিয়ে বেড়িবাঁধ সংস্কার কলেও তা ছিল অপ্রতুল। যার কারনে দিন দিন নদী গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে পাড়ার বসত ঘর। হুমকিতে রয়েছে একমাত্র মসজিদ-কবরস্থান।
৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার মাহমুদুল হক দুখু মিয়া ফুলছড়ি নদীর ভাঙ্গন ঠেকাতে পোকখালী ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান।
পোকখালী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ জানান, গোমাতলী ৭ নং ওয়ার্ড রাজঘাট পাড়ারবাসীর দূর্ভোগ লাঘবে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে টেলিফোনে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এলাকা পরিদর্শণ করবেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।