২ অক্টোবর, ২০২৫ | ১৭ আশ্বিন, ১৪৩২ | ৯ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন

প্রাকৃতিক দূর্যোগে সাগরে জেলে নিখোঁজের সংখ্যা বাড়ছে

প্রাকৃতিক দূর্যোগের ব্যাপারে সচেতনতামুলক প্রচারণা ও দ্রুত সতর্ক সংকেত প্রচার করা হলেও তা মানছেন না কতিপয় মোনাফা লোভী ফিশিং ট্রলার মালিক। যার ফলে সাগরে প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন ফিশিং ট্রলার শ্রমিকরা। ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মালিক পক্ষকে অনুরোধ করা হলেও মালিক পক্ষ শ্রমিকদের সাগরে থাকতে বাধ্য করছে।
কোন ভাবেই কমছে না সাগরে ফিশিং ট্রলার ডুবিতে মৎস্য শ্রমিকের মৃত্যুর হার। কোন সতর্ক সংকেত জারি হলেই নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে অসংখ্য জেলে। যার ফলে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে পথে বসার উপক্রম হচ্ছে।
সম্প্রতি ‘মোরা’র আঘাতে ফিশিং ট্রলার ডুবিতে বেঁচে ফিরে আসা মোস্তাক আহমদ মাঝি জানিয়েছেন, মালিক পক্ষের চাপের কারণে ট্রলার ফিরে আসতে পারে না। একটি ট্রলার না আসলে অন্য ট্রলারও আসতে পারে না। পাশ্ববর্তী একজনকে ফেলে রেখে ফিরে আসা যায় না। সামান্য একটি জালের জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে অন্তত ২৫ জনকে। একটি জালের দাম হবে ৩৫ হাজার টাকা। মালিক পক্ষ ওই জাল ফেলে না আসার নির্দেশ দেওয়ায় জেলেরা আর ফিরে আসতে পারে না। অনেক সময় একটি রশির জন্য ট্রলার ডুবিতে জেলের মৃত্যু হচ্ছে।
মহেশখালীর মাহমুদুল করিম বহদ্দার জানিয়েছেন, আমার ৫টি ট্রলারই যথা সময়ে ফিরে এসেছে। কোন জাল রশির দরকার নাই সব ফেলে রেখে চলে আসার নির্দেশনা আগে থেকেই দেওয়া আছে। ৫টি ট্রলার ফিরে আসায় আমার অন্তত ৫ লাখ টাকা ক্ষতি হবে, এরপরও আমি সন্তোষ্ট। আমার শ্রমিকরা যথা সময়ে উপকূলে ফিরে এসেছে এটিই আমার লাভ।
জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম মাঝি জানিয়েছেন, সব ট্রলারের মালিক এক নয়। অনেকেই শ্রমিকদের সাগরে থাকতে বাধ্য করে। তারা কোন সতর্ক সংকেত ও সরকারি নির্দেশনা না মেনেই এ সব করছে। তাদের নির্দেশ অমান্য করে ট্রলার ফিরে আসলে শ্রমিকদের বেতন থেকে কেটে নেওয়া হয় তেলসহ যাবতীয় খরচের টাকা। যার ফলে শ্রমিকরা বাধ্য হয় সাগরে থেকে যেতে। যদি সতর্ক সংকেত অনুযায়ী কোন দূর্ঘটনা হয় মালিক পক্ষ আর খোঁজ নেন না শ্রমিকদের। নিজের ট্রলার ডুবে গেলেও মালিকরা অনেক সময় আইনগত ঝামেলা এড়াতে তা অস্বীকার করে। এ ব্যাপারে মালিক পক্ষকে বার বার তাগাদা দেওয়া হলেও তারা কিছুর তোয়াক্কা করছেন না। বিশেষ করে স্বল্প মুল্যে রোহিঙ্গা শ্রমিক পাওয়া যাওয়ায় দেশীয় শ্রমিকদের উপর চাপ পড়েছে বেশী। মালিক পক্ষের কথা না শুনলে দ্রুত ওই শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ জানিয়েছেন, কোন মালিক শ্রমিকদের চাপ প্রয়োগ করে তা নিয়ে কেউ অভিযোগ করে না। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি নির্দেশনা মানা সকলের জন্য বাধ্যতামুলক।
জেলা উপকূলীয় ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবুল খায়ের জানিয়েছেন, সমিতি ভুক্ত সকল ট্রলারের শ্রমিকদের নির্দেশনা দেওয়া আছে সমস্যা হলে দ্রুত উপকূলে চলে আসার জন্য। তারা নির্দেশনা মানছে বিধায় আমাদের ট্রলার দূর্ঘটনায় পতিত হয়নি। আমরা চাই সমিতির সকল সদস্যকে একটি শৃংখলার মধ্যে রাখতে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।