১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ২৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ২১ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের   ●  উখিয়ায় প্রায় ৫ কোটি টাকার ইয়াবাসহ বাহক আটক, অধরা মাদক সম্রাট ছোটন ও মামুন

প্রবারণা পূর্ণিমা শুরু, এবার আকাশে উড়বে না ফানুস, ভাসবে না কল্পজাহাজ

এম.এ আজিজ রাসেলঃ জৌলুসহীনভাবে শুরু হয়েছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা। এ উপলক্ষে বৌদ্ধ বিহার গুলোকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল রূপে। তবে অন্যবারের মতো নেই উৎসবের আমেজ। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদের অংশ হিসেবে এবারও জাকঝমকভাবে উদযাপন হচ্ছে না এই উৎসব। ধর্মীয় কার্যাদি ছাড়া সম্পাদন করতেই বিহার গুলোতে ভীড় করে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। তবে আকাশে উড়বে না ফানুস। ভাসবে না কল্পজাহাজও। এমনটাই জানালেন কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্যথিং অং। তিনি জানান, আমাদের যেকোন সুখ-দুঃখে বা উৎসবে মুসলমানদের পাশে পাওয়া যায়। রামুর ঘটনায় মুসলমানসহ সবাই বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জন্য সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছিল। কিন্তু মিয়ানমার সরকার মুসলমানদের অমানবিক নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণ চালাচ্ছে। এর প্রতিবাদ ও রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতি জানাতে সারা দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবার প্রবারণা পূর্ণিমায় ফানুস না উড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। একই ভাবে কল্প জাহাজও ভাসানো হবে না। প্রবারণা পূর্ণিমার বিশাল অর্থ রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দেয়া হবে।
বুধবার শহরের কেন্দ্রীয় মাহাসাংদোগ্রী বৌদ্ধ মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে বুদ্ধ পূজা, প্রদীপ পূজা, পিন্ডদান, শীলগ্রহণ, সমবেত প্রার্থনা করতে দেখা যায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ছোট বড় সকলকে। ‘প্রবারণা’ অর্থাৎ পরিশুদ্ধতা। এমন প্রত্যাশাই পালন হচ্ছে দুই দিন ব্যাপী প্রবারণা পূর্ণিমা। মাহাসাংদোগ্রী বিহারে এবার প্যান্ডেল সাজিয়েছে রাখাইন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আরডিএফ), বৌদ্ধ ছাত্র মৈত্রী (কক্সবাজার সরকারি কলেজ), বৌদ্ধ ছাত্র মৈত্রী (কক্সবাজার সিটি কলেজ), রাখাইন তরুণ প্রজন্ম ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ রাখাইন স্টুডেন্ট কাউন্সিল (বিআরসিসি), বাংলাদেশ রাখাইন স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন (বিআরসিএ), রাজধানী ফ্রেন্ডস সার্কেল, কক্স ফ্রি স্টাইল রিলেশন, হ্যাংগিং গার্ডেন, ইয়ং জেনারেশনসহ আরো একাধিক সংগঠন। এছাড়া শহরের পিটাকেট বৌদ্ধ বিহার, অমেধা বৌদ্ধ বিহার, বাজারঘাটা বৌদ্ধ বিহার, পূর্ব বাজারঘাটা বৌদ্ধ বিহার, মোহাজেরপাড়া বৌদ্ধ বিহার গুলো পুর্ণ্যার্থীদের আনাগোনায় সরব হয়ে ছিল সকাল থেকে সন্ধ্যা অবদি।
রাখাইন শিক্ষার্থী বাওয়ান, মং হ্লা ওয়ান, লন লন, ক্যাওয়ান, উ থেন, থোয়াই নিন, উসেনমি, বাবুশে, মং সিয়ে আই, জহিন, জ জ, জনি, থেন থেন নাই, মং থেন নাই, মংবাশেন, চ হ্লাইন, আক্য, আবুরী, ওয়ানশে, নাই নাই, কিংজ, ববি, জওয়ান ও ময়টিং জানান, এটা আমাদের খুবই পবিত্র উৎসব। প্রবারণা পূর্ণিমার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে তিনমাস বর্ষাবাসের। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী এরপর শুরু হবে কঠিন চীবর দানোৎসব।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।