৪ জুলাই, ২০২৫ | ২০ আষাঢ়, ১৪৩২ | ৮ মহর্‌রম, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা

মাদকবিরোধী মানববন্ধন ও পথসভায় বক্তারা

‘প্রদীপের প্রয়োজন টেকনাফবাসীর’

বিশেষ প্রতিবেদকঃ মাদকসহ অপরাধ নির্মূলে টেকনাফবাসীরই প্রয়োজন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশকে। তিনি বলে গেলে বা বদলি হলে টেকনাফের সেই পুরোনো চেহারা ফিরে আসবে। শুরু হবে মাদক ও অস্ত্রেও ঝনঝনানি। একটি বিশেষ বিশেষ মহল তা করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের উদ্যোগে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের হ্নীলা বাসস্টেশনের প্রধান সড়কে এই মানববন্ধন ও পথসভায় বক্তারা এই কথা বলেন।
উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন টেকনাফ উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি নুরুল হুদা, হ্নীলা ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী, উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, হ্নীলা ইউপি মেম্বার ফরিদুল আলম, বশির আহমদ, সাবেক মেম্বার ছালেহ আহমদ, হ্নীলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি মৌলানা শাকের আহমদ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, হ্নীলা ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি বাহাদুর শাহ তপু, ৭নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি জাফর আলম সাদেক, ৩নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি মুফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্নসাধারণ সম্পাদক তারেক মাহমুদ রনী, হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুরুল আলম নুরু প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি। মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমারের বিরুদ্ধে আক্রোশমূলক সংবাদ প্রকাশ করায় তীব্র সমালোচনা করে বলেন, একটি মাদক সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মাদক ব্যবসায়ীর ঘরে ঘরে হানা দেয়ায় মাদক কারবারিরা মোটা অংকের বিনিময়ে ওসির পিছু লেগেছে। এমন ওসি টেকনাফ না আসলে আজ টেকনাফে মাদকের আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করতো। ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ভয়ে মাদক কারবারিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অনেকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছে। মানববন্ধনে ওসি প্রদীপ কুমারের ভূঁয়সী প্রশংসা করেন অংশগ্রহণকারীরা।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান, মাদক নির্মূল কমিটি, হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগ, হ্নীলা ব্যবসায়ী সমিতি, হ্নীলা কর্মচারী সমিতি, হ্নীলা নির্মাণ শ্রমিক সমিতি, হ্নীলা সিএনজি পরিবহন শ্রমিক সমবায় সমিতি, হ্নীলা টমটম চালক শ্রমিক সমিতিসহ সর্বস্তরের ব্যবসায়ী, বিভিন্ন সংগঠন ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
সুত্রমতে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ৭৩ জন ইয়াবা গডফাদারের তালিকা করেছিল। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তাদেও ২৯ জন সহ ১০২ জন ইয়াবা কারবারি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। আত্মসমর্পণের ৬ মাসে টেকনাফে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে ৫৫ জন নিহত হয়। এই ঘটনায় ৫৫০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।