১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ১ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২৩ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ

পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে বেড়েছে ইলিশের চাহিদা

পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে বেড়েছে ইলিশের চাহিদা। বাজারে ছোট-বড় ইলিশের ছড়াছড়ি, রয়েছে জাটকাও। রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাপিলা সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে আড়াইশ টাকা কেজি দরে। ইলিশের নামে মৌসুমে সামুদ্রিক চন্দনা মাছও বিক্রি হচ্ছে। তবে এ বছর চাহিদা ব্যাপক নয়। তাই ক্রেতারা কিনছেন বুঝেশুনে।

পহেলা বৈশাখে ইলিশ দিয়ে পান্তা খাওয়া রীতিতে পরিণত হয়েছে। যদিও বৈশাখের সঙ্গে ইলিশের কী সম্পর্ক তা কেউই খুঁজে পান না। তার পরও সংস্কৃতি রক্ষার নামে যেভাবে জাটকা ও মা ইলিশ খাওয়ার মহোৎসব চলে তাতে ইলিশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইলিশ ছাড়া পহেলা বৈশাখ উৎযাপন হবে না- এমন রীতি কে, কবে চালু করেছে তার কোনও হদিস পাওয়া যায় না। আবার ইলিশের সঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতির সম্পর্কওবা কী তারও কোনও সঠিক ব্যখ্যা নেই। তারপরও বৈশাখ এলেই পাগলের মতো মানুষ ছুটছে ইলিশের পেছনে। ফলে ধ্বংস হচ্ছে দেশের মৎস্য সম্পদ।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্বের মোট ইলিশের ৬০ ভাগ ইলিশ উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে। আর বাংলাদেশের নদ নদীতে ধরা মাছের ১২ শতাংশই ইলিশ। বাংলাদেশের জিডিপিতে (মোট দেশজ উৎপাদন) এর অবদান এক শতাংশ। এক মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষা, জাটকা সংরক্ষণ ও অভয়াশ্রম নিশ্চিত করতে পারলে বছরে ইলিশের বাণিজ্য হতো কমপক্ষে ২৫ হাজার কোটি টাকা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০০২-০৩ অর্থবছরে দেশে ইলিশ উৎপাদন হয় এক লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ২ লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৪ লাখ মেট্রিক টন। সংশ্লিষ্টদের মতে, মা ইলিশ সুরক্ষা ও ডিম ছাড়ার পরিবেশ সৃষ্টি করায় প্রতিবছরই ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে।

এ প্রসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক বলেন, ‘সরকারের বাস্তবমুখী বিভিন্ন কর্মসূচির ফলে প্রতি বছর ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। উৎপাদন বাড়াতে জাটকা ও মা ইলিশের প্রজননক্ষেত্র সংরক্ষণ ও অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা এ বিষগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছি।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৩১ জুলাই থেকে ইলিশ রফতানি নিষিদ্ধ রয়েছে। এর আগে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৩ হাজার ৬৮০ মেট্রিক টন এবং ২০১০-১১ অর্থবছরে ৮ হাজার ৫৩৮ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রফতানি করে।

এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ  বলেছেন, ‘ইলিশ রফতানির কোনও সিদ্ধান্ত সরকার এখনও নেয়নি এবং আপাতত পরিকল্পনাও নেই। সরকার ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ইলিশ নিয়ে গবেষণাও চলছে।’

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।