৫ মে, ২০২৫ | ২২ বৈশাখ, ১৪৩২ | ৬ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১

নৌকার পর নৌকায় ফিরে যাচ্ছে বিপন্ন রোহিঙ্গারা

173301_160মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযানের মুখে বিপন্ন রোহিঙ্গাদের আরো নৌকা বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ফেরত পাঠিয়েছে।
টেকনাফে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ বিবিসিকে বলছেন, বৃহস্পতিবার ভোর চারটা থেকে ছয়টার মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী নাফ নদীতে যাত্রীবোঝাই সাতটা নৌকা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে।
কিন্তু সীমান্তের চারটি পয়েন্টে এদের আটক করা হয় এবং নৌকাগুলোকে ফেরত পাঠানো হয় বলে তিনি জানান।
নৌকাগুলিতে শতাধিক রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষ ছিল সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন।
অবশ্য টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দারা জানাছেন, বিজিবি’র কঠোর পাহারা সত্ত্বেও সীমান্ত পথে প্রকাশ্যে কিংবা গোপণে অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
ওদিকে অর্থের বিনিময়ে অবৈধ পথে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাচারের দায়ে টেকনাফের ভ্রাম্যমাণ আদালত আটজন দালালকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে।
টেকনাফ থানার ওসি আব্দুল মজিদ বিবিসিকে একথা নিশ্চিত করেছেন। গতকালও একই অভিযোগে কক্সবাজারের উখিয়াতে তিনজন দালালের সাজা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের প্রতি সরকারের কঠোর মনোভাব সত্ত্বেও সীমান্তের ওপারে চরম সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে পড়া মানুষদের প্রতি বাংলাদেশিদের সহানুভূতি দৃশ্যত বাড়ছে।
তবে মিয়ানমারের সরকার রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের দাবি বরাবরই ‘অতিরঞ্জিত’ বলে বর্ণনা করে থাকে।

মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা অভিযোগ করছেন, রাখাইন প্রদেশে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী খুন এবং ব্যাপক নির্যাতন চালাচ্ছে।
সীমান্ত এলাকা ঘুরে এসে বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা আকবর হোসেন কুতুপালং এলাকায় মোজিনা খাতুন নামে এক রোহিঙ্গা নারীর সাথে কথা বলেছেন যিনি অভিযোগ করছেন যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তার স্বামীকে গুলি করে হত্যা করেছে।
মজিনা খাতুন জানাচ্ছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা বাড়িঘরে আগুন দিচ্ছে। পুরুষদের ধরে ধরে হয় গুলি করা হচ্ছে, নয়তো গলা কেটে ফেলা হচ্ছে। তার মতই আরো বহু নারী এখন স্বামীহারা।
”তারা আমাদের বাচ্চাদের আগুনে ছুঁড়ে ফেলছে। প্রাণ বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে আমরা তাই সীমান্ত অতিক্রম করে এখানে এসেছি।”
রোহিঙ্গা ইস্যুতে উদ্বেগ জানাতে বুধবার ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিও মিন্ট থানকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়।
রাখাইন প্রদেশে সশস্ত্র বাহিনীর অব্যাহত অভিযানের কারণে পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি এবং বাংলাদেশের উপর তার প্রভাব নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিপক্ষীয় এবং কনসুলার বিষয়ক সচিব কামরুল আহসান তার কাছে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে আহসান মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন রাখাইন প্রদেশ থেকে মানবাধিকার লংঘনে বিপর্যস্ত মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে।
তিনি বলেছেন বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষীরা তাদের প্রতিহত করার সবরকম চেষ্টা করলেও হাজার হাজার মরীয়া মানুষ সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এদের মধ্যে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ রয়েছে এবং সীমান্ত এলাকায় আরো কয়েক হাজার শরণার্থী ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছেন বলে তাদের কাছে খবর রয়েছে।
সূত্র : বিবিসি

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।