১৬ জুন, ২০২৫ | ২ আষাঢ়, ১৪৩২ | ১৯ জিলহজ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা   ●  উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নাম পাল্টাচ্ছে দিল্লির?

নাম পাল্টাচ্ছে দিল্লির?
এবার ভারতের রাজধানী দিল্লির নাম পাল্টানোর উদ্যোগ নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। তাদের দাবি নাম পাল্টালে নাকি ‘ইউনেস্কো হেরিটেজ সিটি’ তকমা পেতে সুবিধে হবে নয়াদিল্লির। ইউনেস্কোর  খেতাবের আশায় রাতারাতি শহরের নাম পাল্টে ফেলা যায় কিনা, এই নিয়ে এখন ভারতে  চলছে নানা বিতর্ক ঝড়।

ভারতে শহরের নাম পাল্টানোর রীতি নতুন নয়। এর আগে নব্বই দশকে বোম্বে শহরের নাম পাল্টে রাখা হয় মুম্বাই। পরবর্তীতে মাদ্রাজ হয়েছে চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর থেকে বেঙ্গালুর“।

জানা গেছে, নয়াদিল্লিকে ‘ইম্পেরিয়াল সিটি অব দিল্লি’ ও পুরনো দিল্লিকে ‘ইম্পেরিয়াল সিটি অব শাহজাহানাবাদ’ নাম দিতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। ইউনেস্কোর দপ্তরে হেরিটেজ তকমা পেতে যে নথিপত্র পাঠানো হয়েছে তাতে রাজধানীর দুই এলাকার জন্য ওই দুটি নামের উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী মাসে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি দল আসার আগেই তাই তড়িঘড়ি শহরের নাম পাল্টাতে উদ্যোগী হয়েছে মোদি সরকার। তবে নাম পাল্টালেই হেরিটেজ তকমা মিলবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা।

ইউনেস্কো-তকমা পাওয়ার জন্য বহু কড়া নিয়মকানুন রয়েছে। তাই শুধু নাম বদলে কোনও কাজই হবে না। দিল্লির নানা ঐতিহ্যমন্তি এলাকারই ঠিক মতো রক্ষণাবেক্ষণ হয় না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন ব্রিটিশ স্থপতি এডওয়ার্ড ল্যুটিয়েন্সের বানানো নয়াদিল্লির কেন্দ্রস্থলের একটা বড় অংশই এখন বহুতলের নিচে পড়ে গেছে। আবার পুরান দিল্লির বহু প্রাচীন সৌধই ভগ্নপ্রায়, সেগুলোর কোনও দেখাশোনাই হয় না। ফলে শুধু নাম পাল্টালেই যে রোম বা হাভানার মতো ‘ইউনেস্কো হেরিটেজ সিটি’র তকমা মিলবে, তা মনে করেন না অধিকাংশ বিশেষজ্ঞই। তাই মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। অনেকেরই মত, এ ক্ষেত্রে অনেকটা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কায়দায় কাজ করেছেন মোদি। অনেক সময়েই রাস্তা, স্টেশনের নাম এককথায় বদলে দিয়েছেন মমতা। রাজধানীর নাম বদলের উদ্যোগও অনেকটা তেমনই। তাই দেশের বেশ কিছু মানুষ নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছেন, যাতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পথ অনুসরণ না করেন নরেন্দ্র মোদি।

– See more at: http://www.sheershanewsbd.com/2015/04/08/75787#sthash.eC1vW7jd.dpuf

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।