২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১০ পৌষ, ১৪৩২ | ৪ রজব, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  সিবিআইউ’র আইন বিভাগের ১৭তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  ক্ষোভ থেকে হত্যার ছক আঁকেন অপরাধী চক্র   ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতির সঙ্গে সাদা পোষাকে উপপরিদর্শকের অসদাচারণ!


বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতি শামীম ইকবাল চৌধুরীর সঙ্গে সাদা পোষাকে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের অসদাচারণের অভিযোগ উঠেছে।
শফিক উল্লাহ নামের ওই পুলিশ কর্মকর্তা গতকাল রোববার সকাল পৌনে ১১টায় উপজেলা পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটান। এ নিয়ে স্থানীয় প্রেসক্লাব সহ সচেতন মহলের মাঝে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তাৎক্ষণিক জরুরী সভা ডেকে ওই এসআইকে প্রত্যাহারের জন্য পুলিশ সুপারের প্রতি দাবী জানিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ।
প্রেসক্লাব সভাপতি শামীম ইকবাল চৌধুরী বলেন, গতকাল সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে সাংবাদিকদের মধ্যে আলাপরত অবস্থায় এক ব্যাক্তি অর্তকিত অবস্থায় এসে সাংবাদিকদের গায়ে ধাক্কা দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সরে যেতে বলেন অন্যতায় তাঁকেসহ প্রেসক্লাব সম্পাদককেও গ্রেফতারের হুমকি দেন। পরে জানতে পারি তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি থানার এসআই। এ ঘটনায় উপস্থিত সাংবাদিকরা হতবাক হয়ে পড়েন।
প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর নয়ন বলেন- ওই পুলিশ কর্মকর্তার ঔদ্যত্তপূর্ণ আচরণের বিষয়য়ে নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবে তাৎক্ষণিক সভায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন- ইতিপূর্বে এসআই শফিক নাইক্ষ্যংছড়িতে সাংবাদিকদের হেয়প্রতিপন্ন করে সাংবাদিক নেই বলে মন্তব্য করেছিলেন। ওই এসআই অহেতুক সাংবাদিকদের সাথে বার বার বিবাদে জড়ানোর কারণে অনতিবিলম্বে তাকে প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ আন্দোলনে যাবে।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত এসআই শফিক উল্লাহ সাদা পোষাকে থাকার কথা স্বীকার করে বলেন- দুই সাংবাদিকের মধ্যে ঝগড়া থামাতে চেষ্টা করেছি মাত্র। তবে প্রথমে আমি পুলিশ পরিচয় দিয়েছিলাম।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএইচ এম তৌহিদ কবির বলেন- ‘আমি জেলায় একটি মিটিংয়ে আছি’ প্রেসক্লাব সভাপতির সাথে এসআই শফিকের কথাকাটাটি হয়েছে বলে শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
উল্লেখ্য এসআই শফিক উল্লাহ নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় যোগদানের পর থেকে গ্রামের অসহায় গরীব জনসাধারণকে বিভিন্ন ভাবে হয়রাণি ও অভিযোগ সুরাহার নামে ঘুষ আদায় করে আসছেন। ইতিপূর্বেও তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে সমালোচনা করে তোপের মুখে পড়েন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।