২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ১৩ আশ্বিন, ১৪৩২ | ৫ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন

নাইক্ষ্যংছড়িতে বায়োমেট্রিক যন্ত্রে হাজিরা

হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মডেল ইনস্টিটিউট আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের উপস্থিতি এত দিন শিক্ষার্থীদের মত- হাজিরা খাতায় লেখা হত। এখন থেকে বায়োমেট্রিক যন্ত্রে আঙুলের ছাপে উপস্থিতি গ্রহণ করা হবে।

গত ২৬ অক্টোবর সকালে শিক্ষক কর্মচারীদের এই ডিজিটাল হাজিরা পদ্ধতি উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম সরওয়ার কামাল।
উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের মাদ্রাসায় প্রবেশ ও বের হওয়ার বিষয়টি সহজে জানা যাবে। এর ফলে লেখাপড়ার মান বাড়বে। পাশাপাশি তাঁদের দৈনিক ও সারা বছরের গড় উপস্থিতিও জানা যাবে। এভাবে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ডিজিটাল করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ডিজিটাল হাজিরা পদ্ধতির আওতায় আনা হবে।

অনুষ্ঠানে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো.সৈয়দ হোসাইন এবং মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আবদুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মাদ্রাসার শিক্ষক ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মদিনাতুল উলুম মডেল ইনস্টিটিউট আলিম মাদ্রাসাতেই প্রথম শিক্ষক-কর্মচারীদের এই পদ্ধতি চালু করা হয়। আঙুলের ছাপে উপস্থিতি দিতে পারায় আমরা গর্বিত।’

মাদ্রাসা সূত্র জানায়, মদিনাতুল উলুম মডেল ইনস্টিটিউট আলিম মাদ্রাসায় ২৪ জন শিক্ষক-কর্মচারী আছেন। মাদ্রাসায় বর্তমানে আট শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। শিক্ষক-কর্মচারীদের বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চলতি মাসে ডাটাবেইস তৈরীর কাজ শুরু হয়। ডাটাবেইস তৈরী চলাকালে অধ্যক্ষের কক্ষে বায়োমেট্রিক যন্ত্র স্থাপন করা হয়।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো.সৈয়দ হোসাইন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তা বাস্তবায়নে ডিজিটাল হাজিরা প্রবর্তনের মাধ্যমে আমরা এক ধাপ এগিয়ে গেলাম। এখন থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের সময়মত অফিসে আসা যাওয়া নিশ্চিতকরণের এ উদ্যোগ মাদ্রাসার কর্মকা-কে আরও গতিশীল করবে। এর ফলে কর্মনিষ্ঠা, সময়নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি পেলে লোখাপড়ার মানও বৃদ্ধি পাবে।’

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।