৮ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৩ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৬ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

ধর্ষণ মামলার ৯০ শতাংশ আসামি খালাস পেয়ে যায়!

বর্তমানে দেশের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনার মধ্যে বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার ও রিমান্ড। এ ঘটনায় সমাজের উচ্চবিত্তরা জড়িত। অনেক জল ঘোলার পর পুলিশ দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে।

তবে আদালতের মাধ্যমে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিয়ে রয়েছে সংশয়। কারণ ধর্ষণ মামলায় বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যত মামলা হয়েছে সেগুলোতে মাত্র ১০ শতাংশ আাসমির বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি হয়েছে। শুধু ধর্ষণ মামলায় আইনের ফাঁক গলে ৯০ শতাংশ আসামি বের হয়ে যায় বলে পূর্বপশ্চিমকে জানিয়েছেন মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী।

ধর্ষণ মামলার ৯০ শতাংশ আসামি খালাস পেয়ে যায়
মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী।

তিনি আরো বলেন, ‘ এ জন্য সামাজিক অবক্ষয়ের পাশাপাশি বিচারহীনতাও দায়ী। আইনের ফাঁক গলে অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। ধর্ষিত মেয়েটি তার বিচার ও ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না। এটি নিশ্চিত করতে পারলে ভয়ে কেউ অপরাধ করতে সাহস পাবে না।’ মহিলা আইনজীবী সমিতির এক জরিপের বরাত দিয়ে তিনি জানান, নানা কারণে ধর্ষণ মামলার ৯০ শতাংশ আসামি খালাস পেয়ে থাকে।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের প্রথম তিন মাসে ৭৭৬ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫১৪ নারী। গণধর্ষণের শিকার ৯৭ জন। ধর্ষণের পরই হত্যা করা হয়েছে ২১ জনকে। ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন আরো ৭০ জন।

মহিলা পরিষদের হিসাবে গত বছর দেশে সাত শতাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার দেড় শতাধিক। এদিকে বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের (বিএসএএফ) তথ্য মতে, চলতি বছরের তিন মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭৯ শিশু। ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে আরো ৬২টি শিশু। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১৭টি শিশুকে। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৪ বছরে তিন হাজার ৩০০ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, পুলিশের কাছে ধর্ষণের আলাদা হিসাব নেই। তবে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলার হিসাব রয়েছে। চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে রাজধানীসহ সারা দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১০ হাজার ৩২৪টি। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘটনাই ধর্ষণের বলে জানা যায়।

হিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি
হিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি

জানতে চাইলে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি পূর্বপশ্চিমকে বলেন, ‘কিছু ঘটনায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে উৎকণ্ঠার কারণ নেই। ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের বিচারের ক্ষেত্রে সরকার বদ্ধপরিকর। আমরা অত্যন্ত সচেষ্ট আছি। আইনের সংশোধন করে বিশেষ আদালতে এ ধরনের ঘটনার বিচার হচ্ছে। বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলো মন্ত্রণালয় দেখবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

সূত্র- পূর্বপশ্চিম

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।