২২ জুলাই, ২০২৫ | ৭ শ্রাবণ, ১৪৩২ | ২৬ মহর্‌রম, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের

ধর্ষণ মামলার ৯০ শতাংশ আসামি খালাস পেয়ে যায়!

বর্তমানে দেশের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনার মধ্যে বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার ও রিমান্ড। এ ঘটনায় সমাজের উচ্চবিত্তরা জড়িত। অনেক জল ঘোলার পর পুলিশ দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে।

তবে আদালতের মাধ্যমে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিয়ে রয়েছে সংশয়। কারণ ধর্ষণ মামলায় বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যত মামলা হয়েছে সেগুলোতে মাত্র ১০ শতাংশ আাসমির বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি হয়েছে। শুধু ধর্ষণ মামলায় আইনের ফাঁক গলে ৯০ শতাংশ আসামি বের হয়ে যায় বলে পূর্বপশ্চিমকে জানিয়েছেন মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী।

ধর্ষণ মামলার ৯০ শতাংশ আসামি খালাস পেয়ে যায়
মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী।

তিনি আরো বলেন, ‘ এ জন্য সামাজিক অবক্ষয়ের পাশাপাশি বিচারহীনতাও দায়ী। আইনের ফাঁক গলে অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। ধর্ষিত মেয়েটি তার বিচার ও ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না। এটি নিশ্চিত করতে পারলে ভয়ে কেউ অপরাধ করতে সাহস পাবে না।’ মহিলা আইনজীবী সমিতির এক জরিপের বরাত দিয়ে তিনি জানান, নানা কারণে ধর্ষণ মামলার ৯০ শতাংশ আসামি খালাস পেয়ে থাকে।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের প্রথম তিন মাসে ৭৭৬ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫১৪ নারী। গণধর্ষণের শিকার ৯৭ জন। ধর্ষণের পরই হত্যা করা হয়েছে ২১ জনকে। ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন আরো ৭০ জন।

মহিলা পরিষদের হিসাবে গত বছর দেশে সাত শতাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার দেড় শতাধিক। এদিকে বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের (বিএসএএফ) তথ্য মতে, চলতি বছরের তিন মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭৯ শিশু। ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে আরো ৬২টি শিশু। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১৭টি শিশুকে। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৪ বছরে তিন হাজার ৩০০ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, পুলিশের কাছে ধর্ষণের আলাদা হিসাব নেই। তবে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলার হিসাব রয়েছে। চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে রাজধানীসহ সারা দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১০ হাজার ৩২৪টি। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘটনাই ধর্ষণের বলে জানা যায়।

হিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি
হিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি

জানতে চাইলে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি পূর্বপশ্চিমকে বলেন, ‘কিছু ঘটনায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে উৎকণ্ঠার কারণ নেই। ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের বিচারের ক্ষেত্রে সরকার বদ্ধপরিকর। আমরা অত্যন্ত সচেষ্ট আছি। আইনের সংশোধন করে বিশেষ আদালতে এ ধরনের ঘটনার বিচার হচ্ছে। বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলো মন্ত্রণালয় দেখবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

সূত্র- পূর্বপশ্চিম

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।