১ নভেম্বর, ২০২৫ | ১৬ কার্তিক, ১৪৩২ | ৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

দীর্ঘ এক যুগ উন্নয়ন বঞ্চিত উখিয়া-ডিগলিয়া সড়ক

উখিয়া উপজেলার পূর্বাঞ্চলীয় ২৫ হাজার মানুষের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম উখিয়া-ডিগলিয়া সড়ক। প্রতিনিয়ত ৫হাজার মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। পূর্বাঞ্চলীয় মানুষের তরি-তরকারী, শাক-সবজি বাজারে আনতে হয় এ সড়ক দিয়ে। ২০০২সালে তৎকালীন সরকারের আমলে উখিয়ার ডিগলিয়া টু ডেইলপাড়া, করইবনিয়ার পর্যন্ত সড়কে ব্রিক সলিনের কাজ করা হয়। পরবর্তী একাধিক জনপ্রতিনিধি প্রকাশ্যে জনসভায় সড়কটি কার্পেটিং করার হবে বলে ওয়াদা দিলেও দীর্ঘ এক যুগ কথা রাখেনি কেউ। যার ফলে বর্তমানে সড়কে খানা-খন্দক ও গর্ত সৃষ্টি হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধের উপক্রম হয়েছে।
সরজমিন, উপজেলার প্রত্যান্ত, অবহেলিত, উন্নয়ন বঞ্চিত, এই সড়ক ঘুরে স্থানীয় এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা গেছে, পশ্চিম ডিগলিয়া থেকে করইবনিয়া ও ডেইলপাড়া সড়কটি দীর্ঘ ১যুগ পুর্বে কিছুটা উন্নয়ন হলেও এরপর থেকে একাধিক মেম্বার, চেয়ারম্যান, এমপি প্রকাশ্য জনসভায় দাড়িয়ে বড় গলায় স্থানীয় লোকজনকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট আদায় করার পর আর তাদের দেখা মেলেনি। কামাল হোসন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী ওই সব জনপ্রতিনিধিরা আগামীতে আমাদের কাজ থেকে ভোট দাবী করলে তাদেরকে ভোটের পরিবর্তে অপমাণিত করা হবে। তিনি এসময় বলেন, এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত কয়েক লক্ষ টাকার কাঁচা মালামাল উখিয়া বাজারে নিয়ে আসা হয়। সরকার ওই সব কাচা মালামাল থেকে বিপূল পরিমাণ রাজস্ব পেলেও সড়কটি ব্যাপারে কোন মাথা ব্যথা নেই। স্থানীয় ইউপি সদস্য মীর সাহেদুল ইসলাম রুমান চৌধুরী বলেন, গত ১২ বছরে এ সড়কে কোন প্রকার উন্নয়ন হয়নি। এমনকি সড়কের মাঝে মাঝে যে সমস্ত খানা খন্দক সৃষ্টি হয়েছে তাতেও এক গাড়ী বালি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। তার নিজস্ব অর্থায়ানে বহুবার সড়কটি সংস্কার করেছে বলে এ প্রতিবেদককে জানান। উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পে কর্মরত এনজিও কর্মকর্তা ও ডিগলিয়াপালং এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা শাহজাহান বলেন, সড়কটি কার্পেটিং করা হলে পূর্বাঞ্চলীয় জনপদের ২৫হাজার মানুষের দুঃখ দুর্দশা দুর হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করে সহস্রাধিক পরিবার উপকৃত হবে।
উখিয়া এলজিইডি অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সোহারাব আলী কাজ থেকে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সড়কটি কার্পেটিং করার ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীদের দুঃখ দুর্দশা দুর হবে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে আশ্বস্থ করেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।