৪ মে, ২০২৫ | ২১ বৈশাখ, ১৪৩২ | ৫ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১

তামাক নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা জরুরি

উন্নয়নের অন্যতম প্রধান অন্তরায় তামাক। হৃদরোগ, স্ট্রোক, বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার, ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদী রোগ (সিওপিডি, এজমা), ডায়বেটিসসহ প্রাণঘাতী বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের অন্যতম প্রধান কারণ তামাক। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সুনির্দ্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে দিনব্যাপী সম্মেলনে এ মতামত ব্যক্ত করেন দেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর নবগঠিত স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে কর্মসূচি, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট ও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল, তামাক বিরোধী বেসরকারি সংগঠনগুলোর সম্মিলিত মঞ্চ বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এ সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে ১৩০টি সংগঠনের প্রতিনিধি ও ৫০ জন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অংশ নেন।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী। বিশেষজ্ঞ মতামত তুলে ধরেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এন্ড হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. আবদুল মালিক।

অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক ডা. আবুল মালিক বলেন, অসংক্রামক রোগের অন্যতম প্রধান কারণ ধূমপান ও তামাক সেবন। এটি মানবদেহে নানা ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়বেটিসের মত মরণব্যাধি সৃষ্টি করছে। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। সে লক্ষে সরকারকে কাজ শুরু করতে হবে। তার আগে রোডম্যাপ চূড়ান্ত করতে হবে। সরকারের কাজে সহযোগিতার জন্য গণমাধ্যম ও বেসরকারি সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে সব চাইতে কম মূল্যে তামাকজাত দ্রব্য কিনতে পাওয়া যায়। ফলে দরিদ্রদের মধ্যে তামাকের ব্যবহার বেশি। এজন্য তামাকের উপর কর বাড়াতে হবে। আসন্ন বাজেট অধিবেশনে যেন তামাকের কর যেন বাড়ানো হয়, সেজন্য সংসদ সদস্যদের পক্ষ থেকে অর্থ মন্ত্রীকে অনুরোধ করা হবে বলে জানান তিনি।

বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট উপদেষ্টা আবু নাসের খান। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ।

সমাপনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান ও সম্মেলনের ঘোষণা পাঠ করেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট মুখপাত্র আমিনুল ইসলাম সুজন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।