১৮ নভেম্বর, ২০২৫ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ২৬ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের   ●  উখিয়ায় প্রায় ৫ কোটি টাকার ইয়াবাসহ বাহক আটক, অধরা মাদক সম্রাট ছোটন ও মামুন   ●  ১৩ নভেম্বরকে ঘিরে কক্সবাজারে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী   ●  কক্সবাজার ৪আসনঃ প্রার্থী চুড়ান্ত, তবুও মনোনয়ন বঞ্চিত আবদুল্লাহর সমর্থকদের বিক্ষোভ   ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ফেরত লোকজনের কারণে ঝুঁকিতে কক্সবাজার

ইমাম খাইর: ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ফেরত লোকজনের কারণে বড় ধরণের ঝুঁকিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজার। এই পর্যন্ত ৬ জনের মধ্যে মাত্র ১ সপ্তাহে ধরা পড়া ৫ করোনা রোগির সবাই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরেছেন। কেউ গিয়েছিলেন মাছ ও আমের ব্যবসা করতে। আর কেউ ফিরেছেন গার্মেন্টসে চাকুরি থেকে। এসব লোকদের কারণে কক্সবাজারের বাসিন্দারা চরম আতংকের মধ্যে রয়েছে।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষায় গত ৮ এপ্রিল থেকে কক্সবাজার জেলা লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সময়ের মধ্যে জেলার বাইরে যাওয়া, বাইর থেকে আসা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

তাছাড়া সদরের ইসলামপুরে গত ৪ দিনে সাড়ে ৩শ’র বেশী ট্রাক কক্সবাজারে ঢুকেছে, যার সিংহভাগ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের। ট্রাকগুলো আসার সময় মালামাল পরিবহন করে, জেলার বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছিয়ে দিচ্ছে। যাওয়ার সময় নিয়ে যাচ্ছে লবণ। প্রতি ট্রাকে চালক-হেলপার বাদে আরো অন্তত ২/৩ জন। এসব ট্রাকে করে চলে আসছে বিভিন্ন এলাকার লোকজন।

এতেকরে পুরো জেলায় করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে যাচ্ছে কিনা, খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা এখন ৬ জন। সর্বশেষ করোনা শনাক্ত হওয়া আবুল কালাম (৫৫) নারায়ণগঞ্জ থেকে মাছের ব্যবসা করে দুই দিন আগে ফিরেছেন। যদিওবা তিনি বিষয়টি গোপন করেছিলেন।

আবুল কালাম কক্সবাজার পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের টেকপাড়ার বাসিন্দা মৃত এজাহার মিয়ার ছেলে।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর (পলিমারি চেইন রি-অ্যাকশন) ল্যাবে বুধবার ৬৪ জনের স্যাম্পল টেস্টের মধ্যে তার রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ হয়েছে।

দেশের মধ্যে ঢাকার পরই নারায়ণগঞ্জই সবচেয়ে ‘করোনা ঝুকিপূর্ণ’ এলাকা। দুই দিন আগে মাছের ব্যবসা করে টেকপাড়ায় ফিরলেও করোনা শনাক্ত হওয়া আবুল কালাম ‘কেস বিবরণী’তে শহরের কোথাও যান নি বলে লিখেছেন। তার ৫ মেয়ের মধ্যে ২ জন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকুরি করেন।
মূলতঃ এসব লোকজনই কক্সবাজারের প্রায় ২৬ লাখ জনগণকে ঝুঁকিতে ফেলছে।

কক্সবাজার জেলার প্রথম করোনা রোগি মুসলিমা খাতুন ঢাকা কুয়েত মৈত্রি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে সম্পূর্ণ হয়ে গত ২৪ মার্চ চকরিয়ার খুটাখালীর নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। ওমরাহ হজ থেকে ফেরার পর তার করোনা ধরা পড়ে।

কিন্তু তিনি ছাড়া জেলার বাকি ৫ জনই লকডাউনের সময়ে ব্যবসা ও চাকুরির সুবাদে জেলার বাইরে থেকে করোনা বহন করে এনেছেন।

মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের-মুকবেকী এলাকার মোঃ বশিরের পুত্র গার্মেন্টস কর্মী মোঃ রায়হান (২৪) মুরুং ঘোনা এলাকার আবদুল খালেকের পুত্র আবু হানিফ (১৭), বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মিয়াজি পাড়ার হালিমা সাদিয়া (২৫) ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে আসেন।

টেকনাফের বাহারছরা ইউনিয়নের ৭ নাম্বার ওয়ার্ডের মারিশবনিয়া গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর পুত্র মো: হোছাইন মাছের ট্রাকে করে ঢাকায় আমের ব্যবসা করতে গিয়েছিলেন। এই ৪ জনের শরীরে গত ১৬ এপ্রিল করোনা ভাইরাস জীবাণু সনাক্ত করা হয়।

অন্যদিকে, পার্বত্যজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের প্রথম করোনা রোগি আবু ছিদ্দিক (৫৫)এর ‘করোনা পরীক্ষা’ মেডিকেলে হয়। তিনিসহ কক্সবাজার পিসিআর ল্যাবে ৬ জনের করোনা ‘পজেটিভ’ আসে। জেলার প্রথম রোগির ‘করোনা পরীক্ষা’ করা হয় চট্টগ্রামে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।