১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২৭ ভাদ্র, ১৪৩২ | ১৮ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল শুরু

কক্সবাজার সময় ডেস্কঃ টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল  শুরু হয়েছে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেয়ারি সিন্দাবাদ নামের একটি জাহাজ ৩০০ পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। চলতি পর্যটন মৌসুমের শুরুতে, অক্টোবরের প্রথম থেকে জাহাজ চলাচলের কথা থাকলেও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে তা এতদিন বন্ধ ছিল। গতকাল কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের অনুমতিক্রমে চলতি পর্যটন মৌসুমে এই প্রথম কোনও জাহাজ সেন্টমার্টিনের দিকে যাত্রা করেছে।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদ টেকনাফের ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম জানান, দুই মাস আগে থেকেই এ নৌপথে জাহাজ চলাচল করা উচিত ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রশাসন জাহাজ চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এ কারণে দীর্ঘদিন সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। সার্বিক বিবেচনা করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচলেও ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। নৌ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জেলা প্রশাসনও অনুমতি দিয়েছে। এতে করে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ চলাচলে আর কোনও বাধা রইল না।

শাহ আলম বলেন, ‘আজ  সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফের কেয়ারি সিন্দাবাদ জেটি ঘাট থেকে ৩০০ যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে আমাদের জাহাজ।’

টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন, ‘প্রতি বছর পর্যটন মৌসুমে ছয়টি জাহাজ প্রতিদিন চার থেকে সাড়ে চার হাজার পর্যটককে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে আনা নেওয়া করে। এছাড়া সাধারণ নৌকায় করে যাওয়া-আসা করে আরও অন্তত কয়েকশ পর্যটক। এ বছর রোহিঙ্গা সংকট সৃষ্টি হলেও পর্যটকদের সুবিধার্থে একটু দেরিতে হলেও জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’

উল্লেখ্য, প্রতি বছর নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার মাস বাংলাদেশে পর্যটন মৌসুম হিসেবে চিহ্নিত। অন্যান্য বছর পহেলা অক্টোবর থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয় প্রশাসন। এবারও ১ অক্টোবর থেকে জাহাজ চলাচলের সার্টিফিকেট আনা হলেও নিষেধাজ্ঞার কারণে জাহাজ চালাতে পারেনি ট্যুর অপারেটরগুলো।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।