৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২৪ ভাদ্র, ১৪৩২ | ১৫ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!

টেকনাফ থানার সাবেক এ এসআই মাহফুজ ৭ লাখ ইয়াবাসহ গ্রেফতার

yaba

ফেনীর লালপোল এলাকা থেকে ৬ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফ থানার সাবেক এসআই (বর্তমানে পুলিশের বিশেষ শাখায় কর্মরত) মাহফুজুর রহমান (৩৫)কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭। এসময় তার গাড়ি চালককেও গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার রাত সাড়ে ১১ টায় ফেনীর লালপুল এলাকায় দ্রুতগামী একটি প্রাইভেট কার একটি শিশুকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাবার সময় তাড়া করে সেটিকে আটক করে র‌্যাব। এরপর গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে জব্দ করা হয় ইয়াবার চালান। যার আনুমানিক মূল্যে ২৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।

এসময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে মাদক বিক্রির ৭ লাখ টাকা, ৪টি মোবাইল ও বিভিন্ন ব্যাংকের ৮টি ক্রেডিট কার্ড উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব ৭ এর পরিচালক লে. কর্ণেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, ইয়াবাসহ আটক মাহফুজুর রহমান পুলিশের এএসআই। বর্তমানে সে এসবি ঢাকা টেকনিক্যাল সেকশনে কর্মরত। জিজ্ঞাসাবাদে আটক মাহফুজ জানিয়েছে ২০১১-২০১৩ সালে কক্সবাজার জেলার টেকনাফে চাকুরি করার সময় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সাথে তার সখ্যতা হয়।’

তিনি জানান, ‘ কক্সবাজার থেকে আনা ৬ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবার চালানটি ঢাকায় পৌছে দিতে কক্সবাজার গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই মো. বেলাল ও চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কুমিরা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই মো. আশিক তাকে অনুরোধ করেছে বলে র‌্যাবকে জানিয়েছে গ্রেপ্তার হওয়া মাহফুজ।’

র‌্যাব ৭ এর পরিচালক আরো জানান, ‘ঢাকায় তার কাছ থেকে ইয়াবাগুলো হাইকোর্টের জনৈক মহুরী মো. মোতালেব, এ্যাডভোকেট জাকির, এসবি কনস্টেবল শাহীন, কাশেম, গিয়াসদের বুঝে নেয়ার কথা ছিল। এছাড়াও তার নোট বুকে ১৪ জনের সাথে বিভিন্ন সময়ে ইয়াবা লেনদেনের ২৮ কোটি ৪৪ লক্ষ ১৩ হাজার টাকার হিসাব পাওয়া গেছে।’

তবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে গ্রেপ্তারকৃত পুলিশসহ চালককে হাজির করেনি র‌্যাব-৭।

এ ঘটনায় গাড়ির মালিক পুলিশের এএসআই মাহফুজুর রহমান ও ড্রাইভার জাবেদ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

 

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।