বার্তা পরিবেশক:
প্রবাসী আত্মীয়-স্বজন এবং নিজস্ব তহবিল থেকে ঝিংলজা ও পার্শবর্তী পিএমখালী ইউনিয়নের ৬০০ অসহায় ও দুস্থ মানুষকে নগদ টাকা প্রদান করেছে ঝিলংজার ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুর রশিদ। মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার তিনদিন আনুষ্ঠানিকভাবে এসব নগদ অর্থ করা হয়।
জানা গেছে, মোট ৬০০ অসহায় মানুষকে ২০০০ টাকার করে প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার ঝিংলজার ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ১০০ জন, বুধবারও ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ২০০ জন এবং বৃহস্পতিবার পিএমখালীতে ৩০০জনকে ২০০০ টাকা করে অর্থ সহায়তা তুলে দেয়া হয়।
এদিকে এই টাকা বিতরণ নিয়ে এলাকার কুচক্র অপপ্রচার চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিতরণ করা টাকাগুলো এনজিও টাকা ও আত্মসাৎ করার মিথ্যা অভিযোগে গণমাধ্যমে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করেছে চক্রটি।
এই বিষয়ে আবদুর রশিদ মেম্বার চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, কোনো এনজিও’র টাকা তারা বিতরণ করেনি। সব টাকা তার প্রবাসে থাকা আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের দেয়া। এছাড়াও নিজস্ব তহবিল থেকেও তিনি টাকা দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে এলাকার কুচক্রী মহলটি।
মৃত ডা. আবুল খাইয়ের ছেলে নাসির উদ্দীন নাগুকে অপপ্রচার চক্রের হোতা বলে জানিয়েছেন আবদুর রশিদ মেম্বার।
তিনি বলেন, নাসির উদ্দীন নাগু নেতৃত্বে একটি চক্র অপপ্রচারের লিপ্ত রয়েছে। তার সাথে রয়েছে, কিশোর গ্যাং সদস্য সুজন, ফয়সালসহ আরো কয়েকজন।
মেম্বারের ভাতিজা মিজানুর রহমান বলেন, কোনো এনজিওর টাকা মেম্বার বিতরণ করেনি এবং টাকা আত্মসাতের প্রশ্নই আসে না। যারা সমাজের ভাইরাস, মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী এবং কিশোর গ্যাংয়ের গড়ফাদার তারাই প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মেম্বার আবদুর রশিদ ও তার স্বজনদের এই মহতি উদ্যোগ নিয়ে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। তারা জানিয়েছেন, যারা অপপ্রচার করেছে তারাই মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী এবং সমাজের নিকৃষ্ট শ্রেণির লোক। তার স্বজন ও বন্ধুদের সহায়তায় অতীতেও মেম্বার আবদুর রশিদ অসহায় সমাজের মানুষগুলোকে সাহায্য করে এসেছে। ভবিষ্যতেও এই সহায়তা অব্যাহত রাখবেন তিনি। অপপ্রচরকারীদের প্রতি ধিক্কার জানিয়েছেন তিনি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।