২৯ মার্চ, ২০২৪ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ | ১৮ রমজান, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  উখিয়ায় পাহাড় চাপা পড়ে রোহিঙ্গা শ্রমিকের মৃত্যু   ●  স্বদেশ ফিরতে ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ   ●  মহাসড়কে ফুটপাত দখলমুক্ত করার উদ্যোগ রামু ক্রসিং হাইওয়ে থানার   ●  কক্সবাজারে হাফেজ মুশফিকুর রহমানকে সংবর্ধনা দিল ছাত্রলীগ   ●  রামুতে এক ঘন্টার ব্যবধানে স্কুল ছাত্রসহ হতাহত চার   ●  সুগন্ধা পয়েন্টের লাল মিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা   ●  সাংবাদিক রাশেদুল মজিদের উপর পুলিশের হামলা, এক সদস্যের তদন্ত কমিটি   ●  কক্সবাজারে ট্রাফিক পুলিশের ‘আসকারায়’ যত্রতত্র পার্কিং, কোটি টাকার বাণিজ্য   ●  কক্সবাজারে ট্রাফিক পুলিশের অনিয়ম-দূর্নীতি ও প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি   ●  ড্রাইভিং পেশায় মহিলাদের সুযোগ দিলেন সেভ দ্য চিলড্রেন ও সিএনআরএস

ঝিলংজার চেয়ারম্যান টিপুর নামে চাঁদাবাজির সময় যুবক আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সোলতানের নামে চাঁদাবাজির সময় সালাহউদ্দিন নামের এক যুবককে হাতেনাতে আটক করেছে জনতা। আটক সালাহউদ্দিন (২৮) কক্সবাজার শহরের বৈদ্যঘোনা এলাকার শামসুল আলমের পুত্র। এসময় সিরাজুল হক নামের আরেক সহযোগী পালিয়ে যায়। আজ (১৬ আগষ্ট) মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে লিংকরোডে আরিফের পার্টসের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
দোকানের মালিক মোহাম্মদ আরিফ জানান, সালাহউদ্দিন সহ দুই যুবক রাত ৮ টার দিকে তার দোকানে গিয়ে ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সোলতান এর নাম ব্যবহার করে ফুটবল খেলা পরিচালনার কথা বলে টাকা দাবী করেন। পরে যাচাই-বাছাই করতে গেলে ভুয়া প্রমানিত হওয়ায় দোকানদার সহ ব্যবসায়ীরা সালাহউদ্দিনকে আটক করে ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে চাঁদাবাজির শিকার বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী পরিষদ কার্যালয়ে হাজির হন। চাঁদাবাজির শিকার বাংলাবাজার এলাকার সালমান এন্টারপ্রাইজ এর মালিক আব্বাসউদ্দীন জানান, এক সপ্তাহ আগে সালাহউদ্দিন নামের ওই যুবক ফুটবল খেলা পরিচালনার অজুহাতে চেয়ারম্যান টিপু সোলতান এর নাম ব্যবহার করে টাকা দাবি করেন। ঘটনাটি তার দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরায় রেকর্ড রয়েছে।
ব্যবসায়ী কামাল জানান, তার দোকানে গিয়ে এক যুবক চেয়ারম্যান টিপু সোলতান এর নাম ব্যবহার করে তার মোবাইল নম্বর নিয়ে যান। পরে চেয়ারম্যান পরিচয়ে এক ব্যক্তি ফোন করে ফুটবল খেলা পরিচালনার জন্য টাকা দেয়ার কথা বলেন। কিছুক্ষণ পর সালাহউদ্দিন নামের এক যুবক চেয়ারম্যান টাকার জন্য পাঠিয়েছেন বলে টাকা দাবী করেন। অনেক দেনদরবারের পর ৫০০ টাকা দিয়ে মুক্ত হন ওই ব্যবসায়ী।
অভিযুক্ত সালাহউদ্দিন দাবি করেন, অনেকের কাছে চেয়ারম্যানের কথা বলে টাকা দাবী করলেও অধিকাংশ ব্যক্তি টাকা দেননি। হাতেগোনা কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা পেয়েছেন। তার আরেক সহযোগী সিরাজুল হক চেয়ারম্যানের কন্ঠ নকল করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে ফোন করেন। পরে তিনি টাকা আদায়ের জন্য যান।
ঘটনার পর আটক সালাহউদ্দিনের পিতা শামসুল আলমকে ডেকে পাঠান চেয়ারম্যান। রাতে আটক সালাহউদ্দিনের পিতা শামসুল আলম ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে ছেলেকে শাস্তি দেয়ার কথা বলেন। শামসুল আলম তার ছেলের কৃতকর্মের দায়িত্ব নেননি।
ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সোলতান জানান, দীর্ঘ ৪/৫ মাস ধরে তার নামে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ আসছিল। খবর নিয়ে চাঁদা আদায়ের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া সবাইকে সতর্ক করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ রাতে লিংকরোডে এক ব্যবসায়ীর দোকানে চাঁদা দাবি করতে গেলে ব্যবসায়ীরা সালাহউদ্দিনকে হাতেনাতে আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে। ওই সময় সিরাজ নামে আরেকজন পালিয়ে যায়। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে। আটক যুবকের পিতাকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তার পিতাও ছেলের দায়িত্ব বা জিম্মা নেননি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।