১৩ অক্টোবর, ২০২৫ | ২৮ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২০ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান

জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল

high-court_banglanews2420161122133738৬১ জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আজ রোববার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি গ্রহণ করে এ রুল জারি করেন।

সংবিধানের সঙ্গে এ নির্বাচন সাংঘর্ষিক দাবি ও জেলা পরিষদ আইনের তিনটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৯ নভেম্বর রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ।

তিনি বলেন, জেলা পরিষদ আইন ২০০০ সালের ৪ (২) ও ১৭ ধারা এবং জেলা পরিষদ সংশোধিত আইনের ৫ ধারাকে রিটে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এসব ধারায় বলা হয়েছে- জেলার অন্তর্ভুক্ত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান যেমন- সিটি করপোরেশন (যদি থাকে), উপজেলা পরিষদ, পৌর করপোরেশন ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধি নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য হবেন। এবং তারা জেলা পরিষদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।

তিনি আরও বলেন, জেলা পরিষদ আইনের এই তিনটি ধারা সংবিধানের ৭, ১১, ২৬, ২৭, ৩১ ও ৫৯ অনুচ্ছেদ এবং প্রস্তাবনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এর মধ্যে সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদ অনুসারে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। আর ৫৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে স্থানীয় সরকারের প্রত্যেক ইউনিটে প্রতিনিধিরা আইন অনুসারে নির্বাচিত হবেন। বাংলাদেশে ইলেক্টোরাল ভোটের নিয়ম নেই। ইলেক্টোরাল ভোটগ্রহণ করার আগে এ সংক্রান্ত বিধি করতে হবে। তা না করেই ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত সঠিক হচ্ছে না।

ইউনুছ আলীর মতে, এ বছর জেলা পরিষদ আইনে যে সংশোধনী আনা হয়েছে, সেটিও সঠিক হয়নি। তাছাড়া নির্বাচনের মনোনয়নের সময় পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে সরকারি দল থেকে বলা হয়েছে, যারা মন্ত্রী বা সংসদ সদস্য হতে পারেননি, দলে পদ-পদবিও নেই এসব নেতাদের খুঁজে বের করে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় যে, আইনের বিধানগুলো ১৬ কোটি মানুষের স্বার্থে নয়, দলীয় স্বার্থে করা হয়েছে। তাই এ রিট আবেদন করা হয়েছে।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছে।

গত ২০ নভেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ ডিসেম্বর পার্বত্য তিন জেলা বাদে বাকি ৬১ জেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আইন অনুযায়ী, প্রতিটি জেলায় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা নির্বাচিত হবেন। প্রতিটি জেলায় ১৫ জন সাধারণ ও পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য থাকবেন। স্থানীয় সরকারের অন্যান্য স্তরে দলীয় মনোনয়নে চেয়ারম্যান বা মেয়র নির্বাচন হলেও জেলা পরিষদে তা হচ্ছে না।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।