৭ নভেম্বর, ২০২৫ | ২২ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৫ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় ভেঙে গেল বিয়ে

বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন। কনের বাড়িতে হাজির বরপক্ষ। কাজি বরের জাতীয় পরিচয়পত্র চাইলেন। কিন্তু বরপক্ষ তা দিতে পারল না। শেষ পর্যন্ত বিয়েটাই ভেস্তে গেল।
এ ঘটনা সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের উলুকান্দি গ্রামের। গতকাল রোববার এ গ্রামের বাছিত মিয়া মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু পাত্রপক্ষ বরের জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে না পারায় তিনি মেয়ের বিয়ে ভেঙে দেন। পরে গ্রামেরই আরেকটি ছেলের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, বাছিত মিয়ার মেয়ের সঙ্গে আশারকান্দি ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের এক তরুণের বিয়ে ঠিক হয়। গতকাল যথাসময়ে হাজির হয় বরপক্ষ। কাজি হাফিজুর রহমান বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। তিনি বরের জাতীয় পরিচয়পত্র চান। বরপক্ষ জানায়, পরিচয়পত্র আনতে ভুলে গিয়েছে। পরিচয়পত্র ছাড়া বিয়ের কাবিন হবে না বলে ঘোষণা দেন কাজি। এ সময় বর ও কনেপক্ষের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাছিত মিয়া বিয়ে ভেঙে দেন।
আবদুল বাছিত কৃষিকাজ করে সংসার চালান। তিনি বলেন, ‘যে ছেলের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাঁর কাছে মেয়ে বিয়ে দিই কী করে? বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছিল। সন্ধ্যায় নিকট আত্মীয়ের ছেলের কাছে মেয়ের বিয়ে দিয়েছি।’
কাজি হাফিজুর রহমান বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া বিয়ের কাবিন করা যাবে না, বলার পরও বরপক্ষ তা আনতে পারেনি। পরে উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়।
পাইলগাঁও ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান সাহান আহমদ বলেন, সচেতনতার অভাবে এ রকম ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যাপারে সবার সচেতন হতে হবে।
সূত্র : প্রথম আলো

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।