বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চাকঢালায় স্থল বন্দর স্থাপনের দাবীতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় কয়েক শতাধিক জনসাধারণ। বৃহস্পতিবার ৯মার্চ সকাল ১০টায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি আমতলীমাঠ এলাকায় ঘন্টাব্যাপী কয়েকশ নারী পুরুষ, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ রাস্তার দু’পাশে দাড়িয়ে এ মানববন্ধন কর্মসুচীতে অংশ নেয়।
বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে অতি সহজে যাতায়তের জন্য বিগত বহু বছর যাবত আমতলীমাঠ এলাকায় স্থল বন্দরের স্থাপনের দাবী করে আসছে স্থানীয় জনসাধারণ। সম্প্রতি নৌ ও পরিবহণ মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠকে পার্বত্য এলাকায় স্থল বন্দর স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা শুরু হলে নতুন করে আশায় বুক বাধে চাকঢালার হাজার হাজার জনগণ। এ ধারাবাহিকতায় নৌ পরিবহণ মন্ত্রী শাহজান খান এমপি ১০-১১মার্চ ঘুমধুম ও চাকঢালায় সম্ভাব্য স্থল বন্দরের জায়গা পরির্দশণে আসার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত চাকঢালা সফর বাতিল করা হয়। এতে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে নাইক্ষ্যংছড়ি-চাকঢালার হাজার হাজার মানুষ।
এ লক্ষ্যে সর্বস্থরের জনসাধারণ মানবন্ধনে মিলিত হয়। মানববন্ধন চলাকালীন প্রায় এক ঘন্টা থমকে যায় পুরো চাকঢালা এলাকা। স্থল বন্দরের দাবীতে দলমত নির্বিমেশে হাতে হাত মিলিয়ে রাস্তার দ’ুপাশে দাড়িয়ে নিজেদের দাবী তুলে ধরেন এসব জনগণ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- পার্বত্য এলাকার মানুষের উন্নয়ন করতে চাইলে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ৪৩-৪৪ নং পিলারের মধ্যবর্তী চেরারমাঠ-আমতলীমাঠ এলাকায় ট্রানজিট পয়েন্ট স্থাপন প্রয়োজন। এতে করে পুরো উপজেলার মানুষ উপকৃত হবে। স্থল বন্দর চালু হলে উভয় দেশের ব্যবসা বাণিজ্যে উন্নয়নের দ্বার খুলে যাবে নতুন করে। বক্তারা আরো বলেন- ঘুমধুমে স্থল বন্দর হউক সেটা আমরাও চাই, তবে নাইক্ষ্যংছড়ি তথা পার্বত্য অঞ্চলের মানুষকে ডিঙ্গিয়ে পাশর্^বর্তী এলাকার মানুষের সুযোগের জন্য নয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক তসলিম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, উপজেলা আওমীলীগ নেতা ডা: সিরাজুল হক, উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইসলাম, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মোজ্জাফর আহমদ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি উপজেলার চাকঢালায় স্থল বন্দর সম্ভ্যাব্যতা যাচাই করেছেন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এ লক্ষ্যে চলতি বছর ৮ফেব্রুয়ারী চাকঢালা চেরারখাল ইলিয়াছ মৌলভীর বাড়ি সংলগ্ন পাশর্^বর্তী মিয়ানমারের ৪৩ ও ৪৪নং পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে ২৭০নং নাইক্ষ্যংছড়ি মৌজার ২৫০২, ২৫২৬, ২৫৫৯, ২৫৬৬, ২৫১২, ২৫৭৫, ২৬৫৫ দাগাদিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা থাকার প্রতিবেদনও দাখিল করা হয় সংশ্লিষ্ট বিভাগে।
এদিকে আজ শুক্রবার ঘুমধুম স্থল বন্দরের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে যাচ্ছেন নাইক্ষ্যংছড়ি পরিদর্শনে যাচ্ছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান এমপি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।