২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ১২ আশ্বিন, ১৪৩২ | ৪ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

চট্টগ্রামে এখনও সক্রিয় নতুন জঙ্গি সংগঠন

চট্টগ্রামে সক্রিয় নতুন তিন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা। চার মাসের ব্যবধানে সংগঠনগুলোর ৪৬ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন নওমুসলিমও রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর দায়ের ছয় মামলার তিনটিতে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘হিযবুত তাহরীর উল্লায়া বাংলাদেশের’ ১৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর দুটি জঙ্গি সংগঠন হলো- আল কায়দার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা ‘একিউআইএস’ ও ‘ইসলামী সমাজ’। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা থাকায় জঙ্গিরা চট্টগ্রামে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারছে না।

২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর নগরীর আকবর শাহ থানা এলাকা থেকে হুজি সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এর পর তদন্তে বেরিয়ে আসে তারা একিউআইএসের সদস্য। অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারের তিনটি মামলায় মাওলানা তাজুল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন, আবুজার গিফারী, নুরে আলম ও শেখ ইফতিশাম আহমেদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে র‌্যাব। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেকটি মামলা তদন্ত শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

নতুন এ জঙ্গি সংগঠনের খোঁজ পাওয়ার পর চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থেকে ‘ইসলামী সমাজের’ ২৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। গত ৪ ফেব্রুয়ারি গোপন বৈঠকের সময় পাহাড়তলীর নয়াবাজার মৌসুমি আবাসকি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলো, নওমুসলিম সাইফুল ইসলাম, রুহুল অমিন, মো. ইউছুফ আলী, আমির হোসেন, জামাল উদ্দিন, আবু হানিফ হারিজ, রফিকুল ইসলাম রুবেল, আলমগীর হোসেন, দিদার হোসেন, মো. আনোয়ার, শাহ আলম, রবিউল হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, আবদুল ওহাব, আবদুর রব, মো. ছাদেক, আবু বক্কর কামাল, আবদুল কাদের, আকবর হোসেন, সাইফুল ইসলাম, ইব্রাহিম খলিল, মোবারক আলী, আবদুল হাকিম ও মো. রবিউল। তাদের মধ্যে রুহুল আমিন সংগঠনটির চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান ও মো. ইউছুফ আলী ঢাকার টঙ্গী অঞ্চলের প্রধান।

একইভাবে গতকাল ‘হিযবুত তাহরীর উল্লায়া বাংলাদেশের’ ১৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গোপন বৈঠকের সময় তাদের নগরীর পাহাড়তলী কাঁচাবাজার ঝর্ণাপাড়ার মসজিদ মার্কেটের জান্নাত লন্ড্রির দোকান থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাইদুল, মামুন ও দেলোয়ার নামে তিন জঙ্গিকে পলাতক দেখিয়ে ২০ জঙ্গির বিরুদ্ধে মামলা করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।