২০ আগস্ট, ২০২৫ | ৫ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২৫ সফর, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

চকরিয়ায় বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে কণেপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে বরপক্ষের নালিশী মামলা!


কক্সবাজারের চকরিয়ায় বার বছর বয়সের বালিকা বধুকে বাল্য বিয়ের কবল থেকে রক্ষা করতে এবার কণেপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে নালিশী মামলা করেছে বরপক্ষের লোকজন। সম্ভাব্য বরের সাথে ওই অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালিকার পূর্বসম্পর্কের হেতু তুলে তাকে জোরপুর্বক বিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে কণেপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালিকাকে বাল্যবিয়ের কবল থেকে রক্ষা করার আবেদনে জানিয়ে ইতোমধ্যে উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশী মামলা দায়ের করেছেন বরের বাবা জমিরউদ্দিন। বিষয়টি নিয়ে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
মামলার আর্জি সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের আবদুল জব্বার সিকদাপাড়া গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে সোহেল মোস্তফাকে গত বছরের ১১ জুন বাড়ির পাশের একটি দোকান থেকে জোর করে ধরে নিয়ে যায় লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের বারআউলিয়া নগর গ্রামের নুরুল আলমের ছেলে বেলালের বাড়িতে।
বাদি জমির উদ্দিন জানান, সেখানে আটকে রেখে বেলালের ১২বছর বয়সের শিশু মেয়ে কাউসার জন্নাতকে তার ছেলের (সোহেল মোস্তাফা) সাথে জোরপুর্বক বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে কণেপক্ষের লোকজন। ওইসময় কনেপক্ষের নিকট আত্মীয় চকরিয়া পৌরশহরের কোচপাড়ার বাসিন্দা মৃত আশরাফ আলীর পুত্র বাবুল, মেয়ের বাবা বেলাল উদ্দিন ও মা ছেনোয়ারাসহ কয়েকজন মিলে ভয়ভীতি দেখিয়ে সোহেল মোস্তাফার কাছ থেকে অলিখিত ষ্ট্যাম্পের শিরোভাবে সাক্ষর আদায় করে। পরে ওইসব খালি ষ্ট্যাম্প পুরণ করে কনেপক্ষের লোকজন কৌশলে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে রেজিষ্ট্রি করে।
স্থানীয় জানা গেছে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বসম্পর্কের অজুহাতে শিশু মেয়ে কাউসার জন্নাতকে হবু বর সোহেল মোস্তফার সাথে বিয়ে দিয়েই ছাড়বে কনেপক্ষের লোকজন। এমনকি বাল্য বিয়েটি সম্পন্ন করতে একেবারে নাছোড়াবান্দা কনের বাবা বেলাল।
অপরদিকে কনে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় হবু বর সোহেল মোস্তফার বাবা জমিরউদ্দিন কিছুতেই রাজি হচ্ছেনা অল্প বয়সে ছেলেকে বিয়ের পিড়িতে বসাতে। ফলে বাল্য বিয়ের এ ধরণের চাপাচাপি থেকে বালিকা বধুকে রক্ষা করতে উল্টো বরের বাবা জমির উদ্দিন বাদী হয়ে ইতোমধ্যে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে (১৯২৯ সনের বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনের ৫, ৬ ও দ:বি: আইনের ৩৪১/৩৮৪ ধারা মোতাবেক) একটি নালিশী মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে কনের বাবা বেলাল উদ্দিন, বিয়ের সহযোগি বাবুল ও কনের মা ছেনোয়ারা বেগমকে। আদালতের বিচারক প্রাথমিক শুনানী শেষে মামলার অভিযোগটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার জন্য উপজেলা সমবায় কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বিয়ের পক্ষ-বিপক্ষ করায় ছেলের বিরুদ্ধে মায়ের মামলা:
ভিকটিম বালিকার বিয়ের ব্যাপারে পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে মা-ছেলের মধ্যে ঘটেছে মারধরের ঘটনা। বাল্য বিয়েতে বাধা দেওয়ায় ছেলে মারধর করেছে বৃদ্ধা মা‘কে। গত ২৪ জানুয়ারি ওই শিশু মেয়ের মা ছেনোয়ারা বেগমের নিকট আত্বীয় বাবুল ও তার মা মাজেদা খাতুনের মধ্যে ঘটে এ মারধরের ঘটনা।
এঘটনায় বাবুলের মা মাজেদা খাতুন তার ছেলে বাবুলের বিরুদ্ধে উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি নালিশী মামলা দায়ের করেন। মায়ের নালিশী মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক অভিযুক্ত বাবুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
প্রসঙ্গত: বরের বাবা জমিরউদ্দিন বাদি হয়ে আদালতে দায়ের করা (বর্তমানে সমবায় কর্মকর্তার কাছে তদন্তাধীন) নালিশী মামলার ১ নম্বর আসামী হলেন বাবুল।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।