২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৯ পৌষ, ১৪৩২ | ৩ রজব, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  সিবিআইউ’র আইন বিভাগের ১৭তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  ক্ষোভ থেকে হত্যার ছক আঁকেন অপরাধী চক্র   ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান

ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে জাতিসংঘের সমন্বয়ে ওয়ার্কিং গ্রুপ

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে জাতিসংঘ, বাংলাদেশ সরকার ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কাজ শুরু করা এ গ্রুপ ৭২ ঘন্টার মধ্যে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করবে।

প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী আর্থিক সংস্থান ও অন্যান্য পদক্ষেপ নেয়া হবে। বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের অফিসের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে রিলিফওয়েব।

জাতিসংঘের প্রশিক্ষণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইউএনআইটিএআর) এর অপারেশনাল স্যাটেলাইট (ইউএনওএসএটি) এর তথ্য অনুযায়ী প্রায় ১ কোটি ৭৪ হাজার মানুষের উপর দিয়ে ১২০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্নিঝড় বয়ে যায়। এর মধ্যে কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ কয়েকটি জেলায় ১৩০ কিলোমিটার বেগে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়।

এদিকে চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে সাগরের মধ্যে থেকে ভাসমান অবস্থা ২৭ জনকে উদ্ধার করেছ ভারতীয় নৌ জাহাজ ‘সুমিত্রা’।

ন্যাশনাল হেল্থ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ও হেলথ সার্ভিস এর মহাপরিচালক (ডিজিএইচএস) এর রিপোর্টের বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে ৬ জন নিহত, ১৩৬ জন আহত হয়।

সরকারি তথ্যমতে, প্রায় ২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সরকারি তথ্যমতে, প্রায় ৫২ হাজার ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষের আশ্রয় প্রয়োজন।

আক্রান্ত এলাকার মধ্যে কক্সবাজার সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। এ জেলায় প্রায় ১৭ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারে বসবাসকারী মিয়ানমারের রোহিঙ্গা অভিবাসীদের ঘর-বাড়ি মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তারা বর্তমানে আশ্রয়, খাদ্য, জ্বালানী ও রান্নার প্রয়োজনীয় শুকনা স্থানের সংকটে রয়েছে।

অপরদিকে বান্দরবান জেলা ও সেখানকার কিছু থানায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পাওয়ার গ্রীড মেরামত করতে এসব এলাকায় সংযোগ দিতে ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগবে। এসব এলাকার রাস্তা ঘাটও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যা মেরামত করতে আরো অনেক সময় লাগবে।

বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকর জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ (৮ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন) টাকা এবং ১৪শ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করেছে। নৌবাহিনীর ২টি জাহাজে করে দূরবর্তী দ্বিপসমূহেও এসব সাহায্য পৌছে দেয়া হবে।

ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্পে ও বসতীদের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিউএফপি) পক্ষ থেকে ১২২ মেট্রিক টন বিস্কুট বিতরণ করা হচ্ছে। ইউএনএইচসিআর ও ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব মাইগ্রেশন বালুখালি এলাকায় প্লাস্টিকের শিট, দড়িসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করছে।

ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব দ্যা রেড ক্রস এন্ড রেড ক্রিসেন্ট (আইএফআরসি) জরুরী খাদ্য, পানি ও আবাসন ব্যবস্থার জন্য ১ লাখ ৭ হাজার ডিজাস্টার রিলিফ ইমার্জেন্সি ফান্ড (ডিআরইএফ) সংগ্রহ করেছে।

সূত্র- যুগান্তর

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।