দেশের নানা প্রান্তে ২৩টি বাণিজ্যিক ট্রানজিটের (স্থলবন্দর) মধ্যে দশটিতে পুরোদমে কাজ চলছে। আর এটি বর্তমান সরকারের অন্যতম সফলতার প্রমান বলে মন্তব্য করেছেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খাঁন এমপি। তিনি বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে কাগজে কলমে বারোটি বাণিজ্যিক ট্রানজিটের নাম থাকলেও কার্যকর ছিলো মাত্র দুটি।
শুক্রবার (১০মার্চ) সকাল সাড়ে নয়টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে মৈত্রী সড়কের পাশে নির্মিতব্য বাণিজ্যিক ট্রানজিটের সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এসব কথা জানান। এসময় তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চাকঢালায় আরো একটি বাণিজ্যিক ট্রানজিট নির্মাণ হবে বলে ঘোষণা দেন।
নৌ পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে প্রস্তাবিত বাণিজ্যিক ট্রানজিট চালু হলে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি, উখিয়া ও টেকনাফের কয়েক লাখ মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দু’দেশের প্রয়োজন মাফিক আমদানী-রপ্তানির এক নব দীগন্ত উম্মোচিত হবে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। সদর ইউনিয়নের চাকঢালা সীমান্তেও একটি বাণিজ্যিক ট্রানজিট নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত একটি দেশ গঠনের যে স্বপ্ন ছিল-তা বাস্তবায়নের লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সাথে বাণিজ্যিক ট্রানজিট চালু করতে যাচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী শাহজাহান খাঁন বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। এ নিয়ে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দাতা সংস্থা কাজ করছে। আমাদের সাথে মিয়ানমার সরকারের সুসম্পর্ক রয়েছে বিধায় দ্রুত বাণিজ্যিক ট্রানজিট চালুর জন্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, বাণিজ্যিক ট্রানজিট কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো.আলাউদ্দিন, পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে.কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ, বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোঃ ইসলাম বেবী, জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম সরওয়ার কামাল, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএইচএম তৌহিদ কবির, উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল খাইর, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগনেতা অধ্যাপক মো.শফিউল্লাহ, খাইরুল বাশার, তসলিম ইকবাল চৌধুরী, মোহাম্মদ ইমরান, ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ প্রমূখ। পরে মন্ত্রী নির্মানাধীন বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়কের কাজ পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।