৩ মে, ২০২৫ | ২০ বৈশাখ, ১৪৩২ | ৪ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন

খুনের দায় স্বীকার করলেন কাদের

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় গ্রেফতার জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ডা. কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খান শনিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। টানা তিন ঘণ্টা ধরে দেয়া জবানবন্দিতে তিনি চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী ও অর্থ জোগানদাতা হিসেবে দায় স্বীকার করেন। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে রাত সাড়ে ৯টায় সাংবাদিকদের সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং করেন রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আহমেদ বশীর। সাংবাদিকদের তিনি জানান, মূলত প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তিনি এ হত্যাকাণ্ডের পথ বেছে নেন। এছাড়া তার মধ্যে ক্ষমতার লোভ এবং পরবর্তীকালে এমপি হওয়ার বিষয়টি জোরালোভাবে কাজ করেছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমপি লিটনের পরিবারের কেউ এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে এমন কোনো তথ্য দেননি কাদের খান। বরং ৬ মাস আগে পরিকল্পনা গ্রহণ করে তিনি এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। অক্টোবর মাসে একবার হত্যাচেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বলে জানিয়েছেন।

ডিআইজি আহমেদ বশীর বলেন, হত্যা মিশনে অংশ নেয় ৩ জন। যাদের কাদের খান অস্ত্র দিয়ে পাঠিয়েছেন। এছাড়া তথ্য সহায়তাকারী হিসেবে আরও দু’একজনের নাম এসেছে। তিনি জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, যে ৩ যুবক এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন তাদের বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে এ কাজে তিনি বাধ্য করেছেন। ভবিষ্যতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে বলে কাদের খান তাদের প্রলোভন দেখান।

ডিআইজি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মূল পরিকল্পনাকারীর জবানবন্দির মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি একেবারে স্পষ্ট হয়েছে। তাই তারা আশা করছেন, ১৫ দিনের মধ্যে চার্জশিট দিতে পারবেন।

১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে সাবেক এমপি কাদের খানকে বেলা আড়াইটার দিকে আদালতে আনা হয়। এরপর এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রস্তুতি শেষে সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাল আবেদীনের খাস কামরায় জবানবন্দি গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় রাত সোয়া ৯টায়।

এর আগে রিমান্ডের তৃতীয় দিন শনিবার দুপুরে কাদের খান এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান ও একমাত্র পরিকল্পনাকারী হিসেবে দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হন। অবশ্য তিনি শক্রবার তদন্ত কর্মকর্তাদের জানিয়েছিলেন, আদালতে কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেবেন না। একদিনের মধ্যে তিনি নিজে থেকেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হত্যা পরিকল্পনায় তার বিরুদ্ধে অকাট্য প্রমাণ থাকায় কাদের খান রিমান্ডের বাকি সময়টা আর পুলিশের কাছে থাকতে চাননি।

জবানবন্দি গ্রহণের উদ্দেশ্যে শনিবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ কড়া নিরাপত্তার মধ্যে হেলমেট এবং বুলেট প্র“ফ জ্যাকেট পরিয়ে কাদের খানকে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

এ সময় আদালত চত্বর ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়জুড়ে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়। জজকোর্ট ভবনের সব গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। কোনো গণমাধ্যমকর্মীকেও সেখানে ঢুকতে দেয়া হয়নি।

প্রসঙ্গত, এমপি লিটন হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাবেক এমপি কাদের খানকে রিমান্ড আবেদন করে ২২ ফেব্রুয়ারি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।