২৬ অক্টোবর, ২০২৫ | ১০ কার্তিক, ১৪৩২ | ৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

খুটাখালীতে দপ্তরী নিয়োগ নিয়ে প্রতারণা!

চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে স্কুলের দপ্তরী নিয়োগ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রতারকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট স্কুল কমিটি ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ বহলতলী সাইক্লোন সেল্টার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ সভাপতি একই এলাকার মৃত ফজল করিমের পুত্র নুরুল আবচার পার্শ্ববর্তী ৪ নং ওয়ার্ডের বাককুমপাড়ার বাসিন্দা আব্দু শুক্কুরের স্ত্রী প্রতিবন্ধী খালেদা বেগমকে নানা চলছাতুরী করে তার পুত্র শবেবরাতকে স্কুলের দপ্তরী নিয়োগদানের প্রলোভন দেয়। উভয়ের কথা মতে প্রাথমিকভাবে খরচের জন্য বিভিন্ন দপে খালেদা ২৯ হাজার টাকাও প্রদান করেন। একপর্যায়ে নুরুল আবছার খালেদাকে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পরিচয় দিয়ে তার ছেলেকে স্কুলের দপ্তরী (চাকুরী) দেয়ার আশ্বাস দেয়। এ সুযোগে আবছার তাদের ঘরে যাতায়ত করেন এবং বিভিন্ন সময় নানা কথাবার্তা বলে কালক্ষেপন করেন। বিষয়টি খালেদার সন্দেহ হলে গত ৮ মার্চ স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
দক্ষিণ বহলতলী সাইক্লোণ সেল্টার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সহ সভাপতি নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে দপ্তরী নিয়োগ নিয়ে মোটা অংকের টাকা নেয়ার অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার টাকা নুরুল আবছার গ্রহণ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। তবে গত ২২ মার্চ ম্যানেজিং কমিটির সভায় তিনি উপস্থিত না হওয়ায় সর্বসম্মতিক্রমে ভূক্তভোগী মহিলার টাকা ফেরৎ দেয়ার জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ভূক্তভোগী খালেদা বেগম জানায়, প্রতারণা করে নুরুল আবছার তার কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে। তার পুত্র দপ্তরী নিয়োগদানের কথা বলে মূলত তাদের ঘরে যাতায়ত করত। এ সুযোগে পুত্র শবে বরাতকে চাকুরীর প্রলোভন দিয়ে পুত্রবধুর শ্লীলতাহানির চেষ্টাও চালায় আবছার । তিনি প্রতারক আবছারের শাস্তি দাবী করে টাকা উদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।