১ অক্টোবর, ২০২৫ | ১৬ আশ্বিন, ১৪৩২ | ৮ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন

কে হচ্ছেন ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতি?

ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতি কে হচ্ছেন- তা নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাষ। দুই প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনে বিশ্লেষকদের মতে এগিয়ে আছেন বিহারের প্রাক্তন গভর্নর রাম নাথ কোবিন্দ। আরেক প্রার্থী মিরা কুমারের পেছনে কংগ্রেসসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল থাকলেও সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতা।

রাম নাথ কোবিন্দ মোদির বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের সমর্থন পেয়েছেন। সব মিলে ৪০টির বেশি রাজনৈতিক দল রয়েছে তার সঙ্গে। লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ এনডিএ জোটের ভোটব্যাংকসহ কংগ্রেসের কিছু সংসদ সদস্য কোবিন্দকে ভোট দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এনডিএ জোটের বাইরে কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের সঙ্গী নীতিশ কুমারের জনতা দল (ইউ) কোবিন্দকে সমর্থন করেছে; যেখানে কংগ্রেসের সমর্থিত প্রার্থী মিরা কুমার। মোদির নেতৃত্বাধীন জোটের বাইরে আর যেসব দল কোবিন্দকে ভোট দিতে পারে, তার মধ্যে রয়েছে- এআইএডিএমকে, যুবজানা শ্রমিকা রায়থু কংগ্রেস পার্টি, বিজু জনতা দল, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল। এসব দল কোবিন্দকে ভোট দিলে মোট ভোটের ৬০ শতাংশের বেশি পাবেন তিনি। নির্বাচনে জয়ের জন্য কোবিন্দের প্রয়োজন ৫০ শতাংশের বেশি ভোট।

কোবিন্দের বিপরীতে ভোটের লড়াইয়ে আছেন মিরা কুমার। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট-ই শুধু নয়, তার সমর্থনে গড়ে উঠেছে সম্মিলিত বিরোধী জোট। এই জোটে আছে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি (এএপি), রাষ্ট্রীয় জনতা দল, অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস, কমিউনিস্ট পার্টিস, ডিএমকে, জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স। এসব দলের ভোট মিরা কুমারের পেলেও তা হবে মোট ভোটের ৩৯ শতাংশের কিছু বেশি, যা প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোটের চেয়ে বেশ কম।

প্রধানমন্ত্রী মোদি তার সমর্থিত প্রার্থী কোবিন্দের ভূয়সী প্রসংশা করে রোববার বলেন, আইনজীবী ও রাজনীতিক হিসেবে কোবিন্দের পথচলায় কোনো বিতর্ক নেই। প্রেসিডেন্ট পদেও তার নির্বাচনে কোনো বিতর্ক থাকবে না।

কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী মিরা কুমারের পক্ষে ‘বিবেকপ্রসূত ভোট’ প্রার্থনা করেছেন। রোববার তিনি বলেন, এই নির্বাচন ‘আদর্শিক লড়াই ও উচ্ছৃঙ্খল মূল্যবোধের বিরুদ্ধে যুদ্ধের’ প্রতিনিধিত্ব করছে। এ ক্ষেত্রে সংখ্যা আমাদের বিরুদ্ধে যেতে পারে। কিন্তু এই লড়াই লড়তে হবে এবং কঠোরভাবে লড়তে হবে।

সোনিয়া গান্ধীর বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, তাদের প্রার্থীর পরাজয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে মোদি শিবিরে তাদের প্রার্থী কোবিন্দের নিশ্চিত জয়ের আশাবাদ রয়েছে।

উল্লেখ্য, সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়। ফলাফল প্রকাশ করা হবে ২০ জুলাই। নতুন রাষ্ট্রপতি শপথ নেবেন ২৫ জুলাই। ২৪ জুলাই শেষ হচ্ছে ভারতের প্রথম বাঙালি প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির মেয়াদ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।