১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৩ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২৫ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা

কুতুবদিয়া বিএনপি নেতার দখল থেকে মুক্ত হলো স্কুল

দখলকুতুবদিয়ায় এক বিএনপি নেতার জবরদখল থেকে মুক্ত করা হয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দ্বীপের আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের পূর্ব তাবলরচর রেড ক্রিসেন্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গত দেড় বছর ধরে দখলে রাখেন ওই নেতা।

কুতুবদিয়া দ্বীপের পূর্ব তাবলরচর গ্রামের বাসিন্দা আবু ইউসুফ নামের এই বিএনপি নেতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটিরও সভাপতি। অভিযোগ রয়েছে, তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের কয়েকটি কক্ষ দখল করে এটি তাঁর ব্যবসায়িক গুদাম হিসেবে ব্যবহার করছেন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা মারাত্মক ব্যাহত হয়।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুফিজুর রহমান জানান, পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিএনপি নেতা আবু ইউসুফ স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা। তিনি কয়েকটি নৌকার মালিক। তাঁর নৌকার জাল ও অন্যান্য সামগ্রী বিদ্যালয়ের কক্ষে মজুত করে রাখেন। বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রায় আড়াই শ শিক্ষার্থী রয়েছে। এমনিতেই বিদ্যালয়ে কক্ষ সংকটের কারণে পড়ালেখা ব্যাহত হচ্ছে। এর ওপর কয়েকটি কক্ষ গুদাম হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় পরিস্থিতি মারাত্মক হয়ে ওঠে। এ ব্যাপারে বার বার গুদাম খালি করার তাগিদও দেওয়া হয়েছে। তিনি এসব কথায় কর্ণপাত করেন না।

এ প্রসঙ্গে কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর সালেহীন গাজী গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পড়ালেখা ব্যাহত হওয়ার কারণে আবু সৈয়দকে কয়েকবার নোটিশ দেওয়া হয়। এর পরেও তিনি মালামাল সরিয়ে নেননি। বরং গুদামটিতে আরো অতিরিক্ত মালামাল ভর্তি করে রাখেন তিনি।’ তিনি জানান, গতকাল বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গুদামের মালামাল ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় উন্মুক্ত নিলাম দেওয়া হয়। এরপর বিদ্যালয়ের দখল করা কক্ষ খালি করে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

সুত্র: কালেরকন্ঠ

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।