৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২৪ ভাদ্র, ১৪৩২ | ১৫ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!

কালারমারছড়ায় কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজে চরম অনিয়ম,চলছে হরিলুট!


মহেশখালীর কালারমারছড়ায় সরকারে হতদরিদ্রদের জন্য গৃহীত কর্মসৃজন কর্মসুচীর উদ্যেশ্য ভেস্তে যেতে বসেছে। ইউনিয়নের প্রকল্প সভাপতি হিসাবে ইউপি মেম্বাররা কাজের চেয়ে আত্মসাতের দিকে ঝুঁকছে বেশী। আর তাই প্রতি বছরের ন্যায় কাজ না করে ব্যাংকের লোকদের নিয়ে কাজের টাকা হরিলুটের চিন্তা করছে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। জানা যায়, কালারমারছড়া ইউনিয়নে ৮টি প্রকল্পের অধিনে ৩৯৫ জন শ্রমিক কাজ করছে। সপ্তাহে পাঁচদিন কাজ করে একমাস পরপর ব্যাংক থেকে শ্রমিকরা টাকা উত্তোলন করবে ।
সরেজমিনে আরো জানা যায়, প্রতিবছর সপ্তাহে ২/৩দিন কাজ করে এবং অল্প সংখ্যক শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করে টেক অফিসার সহ সবাইকে ম্যানেজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করছে মেম্বাররা এমন অভিযোগ করেন স্থানিয় ইউনুছখালী গ্রামের আবু ছৈয়দ। নাম প্রকাশে অনেক শ্রমিক এর সত্যতা স্বীকর করে বলেন , সপ্তাহে ২/৩দিন কাজ করায়। এখন ২ সপ্তাহে মাত্র ৩ দিন কাজ করাইছে । গত বছর সব সময় তাদের কাছ থেকে স্বাক্ষর/টিপসহি নিয়ে মেম্বাররা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে শ্রমিকদের মাসে ৮/১০ দিনের টাকা দেয়। কালারমারছড়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার ইকবাল আব্দুল গফুর ও ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার মিনুয়ারা ছৈয়দ এর নেতৃত্বে এ হরিলুট চলে বলে জানান ঐ শ্রমিকরা ( নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমিকদের কথার অডিও রেকর্ড প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে) ।
এর প্রমান মিলে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কালারমারছড়া ইউনিয়নের টেক অফিসার ও মহেশখালী উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা শামশুল আলম কুতুবী সরেজমিনে কাজ দেখতে গেলে তিনি ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল গফুরের প্রকল্পে কাজ বন্ধ পায় এবং আর সব প্রকল্পে অর্ধেকেরও কম শ্রমিক কাজে দেখতে পায়। এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন টেক অফিসার শামসুল আলমের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন,২ নং ওয়ার্ডের কাজ বন্ধ ছিল সত্য যাহা ইউএনও মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে।
সব প্রকল্পে শ্রমিক উপস্থিতি কম দেখেছি। মোটামোটি কাজের মান সন্তোষ জনক নয় বলে স্বীকার করেন তিনি। আর টাকা উত্তোলনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি আগের বিষয়গুলো শুনেছেন বলে জানান এবং এখন ব্যাংক থেকে শ্রমিক ব্যাতিত কেউ টাকা তুলতে না পারে মতো ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ,আর কোন ধরনের অনিয়মের সুযোগ নেই বলে জানান এ কর্মকর্তা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।