২০ মে, ২০২৫ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ | ২১ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা   ●  উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।

কাউন্সিলর লালুকে নিয়ে জেলা ছাত্রলীগ নেতা নিরুর প্রশংসিত স্ট্যাটাস

কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আসাদুজ্জামান নিরুর ফেসবুক টাইমলাইনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিয়ে একটি তোলপাড় প্রশংসনীয় স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়। নিছে স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হয়-

“যাকে নিয়ে দুই লাইন না লিখলে নয়।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কক্সবাজার পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর #ওমর_সিদ্দিক_লালুর ভূমিকা সত্যি প্রশংসনীয়।

তার সাথে আমার তেমন সম্পর্ক ছিলো না অতীতে। স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই বিগত পনেরো দিনেই তাকে চিনতে পারলাম। বিপদেই বন্ধুর পরিচয়। সারাটা দিন এই অসচেতন জাতির পিছনে ছুটতে ছুটতে যখন শরীরটা আর সায় দেয়না তখন মশার কামড়, গরম, বৃষ্টি সবকিছুই হয়তো হার মেনে যায়। করোনা সংক্রমণ থেকে মানুষকে সচেতন করতে নিরলশ কাজ করছেন। “মাস্ক কই” “বাইরে কি?” “ঘরে যান” “কি করছেন ২-৩ জন দাঁড়িয়ে এখানে?” “দোকান বন্ধ করেন” “পরিবারের সাথে থাকেন”, “বাসায় থাকেন” বলতে বলতে হয়তো ভুলেই গেছে যে তারও একটা বাসা আছে পরিবার আছে।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে শহরজুড়ে প্রচারণা, গুজব ঠেকানো, ত্রান বিতরণ, অপরাধের প্রতিকার ও প্রতিরোধ সবই এখন সমান তালে করছে কাউন্সিলর ওমর সিদ্দিক লালু। জনগনকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে কোয়ারেন্টাইন এবং আইসোলেশনে ঘরে রাখার মূল কাজটিও করছে এই কাউন্সিলর। সংকটাপন্ন সময়ে সার্বক্ষণিক দায়িত্বে যেন কোন ক্লান্তি নেই তার। ওমর সিদ্দিক লালুর এ মানবিক ও সাহসী ভূমিকা সত্যিই প্রসংশিত।

এই কাউন্সিলরের দিকে তাকিয়েও কি আমরা ৬নং ওয়ার্ড বাসী একটু সোজা হতে পারিনা? হ্যাঁ, বাইরে অযথা ঘোরাঘুরি করা মূর্খগুলো যদি বাসায় থাকতো হয়তো এই মানুষটা এতোটা ক্লান্ত হতো না। রেড জোনে সে তার টিম নিয়ে সকাল-বিকাল মাঠে কাজ করেই যাচ্ছে আর মূর্খগুলো সুযোগ বুঝে রাস্তায় হেটেই বেড়াচ্ছে। অদ্ভুত জাতি আমরা। আর আমরা বাসায় শুয়ে শুয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন পোষ্টে গেম খেলছি, মেসেঞ্জারে আড্ডা দিচ্ছি, করোনা নিয়ে মিম বানাচ্ছি, ফ্যানের তলায় শুয়ে আরামে পা দোলাচ্ছি। স্যালুট জানাই।এরাই জনগনের অতন্দ্র প্রহরী।

দোয়া করি ভালো থাকুক মানুষটা ও রেড জোনে কাজ করা তার স্বেচ্ছাসেবক টিম । স্যালুট কাউন্সিলর ওমর সিদ্দিক লালু! এই কাউন্সিলর ও তার স্বেচ্ছাসেবক টিম জাতির ক্রান্তি লগ্নে নিজের জীবনের ঝুকি নিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচাতে ঝাপিয়ে পড়েছেন তারা। ঘরে ঘরে পৌছে দিচ্ছে খাদ্যসামগ্রী। তারাই এখন অন্ধকারের আলোক বর্তিকা।

ঠক ঠক…। এতো রাতে কে? কাউন্সিলর, অথবা স্বেচ্ছাসেবক দর্জা খুলেন। ভয়ে ভয়ে দরজা খুলতেই বাজারের ব্যাগ বুঝিয়ে দেয় গৃহকর্তাকে। স্বপ্ন নয়, এটাই সত্যি। শত শত পরিবারের আজ এই অভিজ্ঞতায় হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। নিম্ন মধ্যবিত্ত সে সকল ঘরে কোন মানুষ যেতে পারছে না নিরাপত্তার জন্য, সেখানেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাহায্য করছে বাজারের ব্যাগ পৌঁছে দিতে।

এই সকল পরিবার না খেয়ে মরবে, তবুও দিনে খাবারের জন্য লাইন ধরবে না। এই অহংকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলো বাজারের ব্যাগ তুলে দিচ্ছে গভীর রাতে। এটা তাদের দায়িত্ব নয়, পুরোপুরি কাজটি তাঁরা করছে স্বেচ্ছাশ্রম হিসেবে। স্যালুট জানাই এই সকল সাদা মনের মানুষকে। স্যালুট জানাই এই দুর্যোগের প্রকৃত যোদ্ধাদের।

প্রিয় কাউন্সিলর ওমর সিদ্দিক লালু আপনার এই কর্ম পৌর ৬নং ওয়ার্ডের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে গেঁথে রবে। আল্লাহ্ আপনাকে ও আপনার স্বেচ্ছাসেবক টিম কে হেফাজত করুক।

আসুন সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, ঘরেই থাকি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন, নিজে সুস্থ্য থাকুন এবং অন্যকেও সুস্থ্য রাখুন এবং মহান আল্লাহ্’র সাহায্য প্রার্থনা করি। আমিন।”

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।