।দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের স্বাধীন রাষ্ট্র কসোভোকে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কসোভো ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সার্বিয়া থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়।
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। খবর বাসস’র।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম শফিউল আলম বলেন, এখন পর্যন্ত ১১৩টি দেশ কসোভেকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ওআইসির ৫৭টি সদস্য দেশের মধ্যে ৩৬টি দেশ ইতিমধ্যে কসোভোকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়ায় বাংলাদেশ ১১৪তম দেশ হিসেবে কসোভোকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতির বিষয়টি জানিয়ে দেবে।
এসময় মন্ত্রিসভায় নতুন যুবনীতির খসড়া অনুমোদিত হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতুন নীতিমালায় যুব সমাজের উন্নয়নে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। পূর্বের নীতিমালায় এ ধরনের কোনও নির্দেশনা ছিল না।
তিনি বলেন, এটি হবে ২০০৩ সালে প্রণীত বিদ্যমান নীতিমালার প্রতিস্থাপন। নতুন নীতিমালায় বেকার, প্রবাসী, উদ্যোক্তা, বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া, লেখা পড়া না জানা, মাদকাসক্ত, তৃতীয় লিঙ্গ, গৃহহীন ও পল্লীর যুবকদের (নারী-পুরুষ) জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের পরামর্শ রয়েছে।
এছাড়া মন্ত্রিসভা সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০১৭, শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউশন আইন-২০১৭ এবং দ্বৈত কর পরিহার ও কর ফাঁকি রোধে দু’টি চুক্তির খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে।
প্রস্তাবিত সামুদ্রিক মৎস্য আইনটি ১৯৮৩ সালের এ সম্পর্কিত অধ্যাদেশের প্রতিস্থাপন। এটি হচ্ছে ২০১০ সালে উচ্চ আদালত কর্তৃক সামরিক শাসনামলের বাতিলকৃত আইনগুলোর একটি।
খসড়ায় অনুমোদিত প্রক্রিয়ায় মৎস্য ও সামুদ্রিক শৈবাল জাতীয় উদ্ভিদ আহরণে দেশের উপকূল ও নদ-নদী এলাকায় মৎস্য অঞ্চল গড়ে তুলতে সরকারকে কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট হবে একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে ডিপ্লোমা, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করবে। এটি হবে বর্তমান শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রতিস্থাপন।
মন্ত্রিসভা বিবিআইএন (বাংলাদেশ-ভূটান-ভারত-নেপাল) এর অধীন ভূটান-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দ্বৈত কর পরিহারে দু’দেশের মধ্যে চুক্তির একটি খসড়া অনুমোদন দিয়েছে।
মন্ত্রিসভায় কাতারের সঙ্গে চুক্তির একটি খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। ১৯৯৭ সালের পর থেকে দীর্ঘ সমঝোতার পর দুটি দেশের মধ্যে এই চুক্তিটি স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে।
২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৮ ০৮:৩১:১১
২০২০ জুলাই ২৮ ০৬:০২:৪৫
২০২০ জুন ২৭ ১১:১৮:৫৪
২০২০ জুন ২২ ১২:৫৩:২৯
২০২০ মে ২৯ ০৫:৫৩:৩৫
২০২০ মে ০৯ ০১:০৫:২৩
২০২০ মে ০৭ ০৫:০৩:৩০
২০২০ মে ০৫ ১১:৫৩:৩৯
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।