১৯ অক্টোবর, ২০২৫ | ৩ কার্তিক, ১৪৩২ | ২৬ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

করোনা তাণ্ডব আর রমজানে আঘাত হানবে ঘুর্ণিঝড় “আম্ফান”

গোটা বিশ্ব এখন কাঁপছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপে। এই ভাইরাসের তাণ্ডবে ইতোমধ্যে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলের অন্তত ২৮ লাখ ৩০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ২ শতাধিক মানুষের।

বিশ্বজুড়ে  করোনাভাইরাসের এই তাণ্ডবের মধ্যেই বঙ্গোপসাগর দিয়ে ধেয়ে আসছে বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’!

এপ্রিলের শেষে বা মে মাসের শুরুতেই বঙ্গোপসাগরে আঘাত হানবে এই ‘আম্ফান’।

তবে কোথায় আছড়ে পড়তে পারে ওই আম্ফান, তা এখনও স্পষ্ট নই। খবর ওয়ান ইন্ডিয়ার।
আম্ফান নামটি দিয়েছে থাইল্যান্ড।

আম্ফান’ ২০১৯-এর ঘূর্ণিঝড় তালিকার শেষ নাম। ‘নর্দান ইন্ডিয়ান ওশেন সাইক্লোন’-এর নামগুলো আটটি দেশ পর্যায়ক্রমে রাখে। এই পর্যায়ক্রমগুলো হল-বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। সেই পর্যায়ক্রমে আট নম্বর তালিকায় শেষ নামটি হল আম্ফান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এপ্রিলে সৃষ্ট হওয়া ঘূর্ণিঝড় ভারতীয় মূল ভখণ্ডের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।

ভারতের পূর্ব উপকূলে মাত্র চারটি ঝড় আছড়ে পড়েছে ১৮৯১ সাল থেকে। বাকি ২৪টি ঝড় বাংলাদেশ-মিয়ানমারে আছড়ে পড়েছে। এপ্রিলে ঝড়ের প্রাক ইতিহাস গত ১০ বছরে অর্থাৎ ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে আরব সাগরে এপ্রিল মাসে সে অর্থে কোনও ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়নি এবং একইভাবে বঙ্গোপসাগরে জুনেও কোনও ঝড় ওঠেনি।
গত দশকে এই দুই অববাহিকার প্রতিটিতে চারটি ঘূর্ণিঝড় দেখা গেছে। ‌মরুত এই দশকের প্রথম ঝড়। এটি ২০১৭ সালের ১৫ এপ্রিল সংগঠিত হয়েছিল এবং শক্তিশালী উল্লম্ব বায়ুর কারণে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুর্বল হয়ে পড়ে।

এপ্রিল বা মে মাসের প্রথমার্ধে ঘূর্ণিঝড়গুলো বেশিরভাগই বাংলাদেশ বা মিয়ানমারকে আঘাত করে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ফণী গত বছর ব্যতিক্রম ছিল। যা এপ্রিলের শেষদিকে উড়িষ্যা উপকূলকে ধ্বংস করে দেয়.

ভারতের আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে    আরও বলা হয়েছে, খুব শিগগিরই বঙ্গোপসাগরে এই মৌসুমের প্রথম সাইক্লোন তৈরি হতে চলেছে। ২৭ এপ্রিল আন্দামান সাগরের ওপর এই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। পরদিন ২৮ এপ্রিল একই অঞ্চলে থেকে তা শক্তি সঞ্চয় করবে। ২৯ এপ্রিল ওই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। পরদিন ৩০ এপ্রিল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে সমুদ্রের ওপর দিয়ে বইতে শুরু করবে বলে জানা যায়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।