বিশেষ প্রতিবেদকঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে জনকোলাহল পরিহার ও কক্সবাজারে পর্যটক সমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। ঘরে অবস্থান নিশ্চিত করা হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ পরিবারের লোকজনকে। এ অবস্থাকে পুঁজি করে চাল ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বাড়তি দামে বিক্রয় রোধে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজারের বিভিন্ন পাইকার ও খুচরা বাজারে অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহজাহান আলি।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজারের বিভিন্ন বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। ক্রেতাদের ভিড় কিছুটা বেশী পরিলক্ষিত হয়েছে। বাজার দর স্বাভাবিক রাখতে আতংকিত না হওয়ার অনুরোধ করা হয় সবার প্রতি। এছাড়া প্রয়োজন অতিরিক্ত ক্রয় ও বিক্রয়ের বিষয়েও সচেতন হতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেন এডিএম।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে মাঠ চষে বেড়াচ্ছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশও। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, করোনা ভাইরাসের আতঙ্ককে পুঁজি করে কেউ যেন বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি কিংবা মজুত থাকার পরও নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়াতে না পারে সেজন্য আজ থেকে (বৃহস্পতিবার) পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত মাঠে থাকবে পুলিশ। থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলা ডিবির সদস্যদেরও জেলার সব বাজারে গোপনে নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর দাম স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসনের সাথে আমরাও কাজ করছি।
এদিকে, অভিযোগ উঠেছে-্ইতোমধ্যে কিছু কিছু এলাকায় বিভিন্ন আড়ত ও খুচরা বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর দাম বাড়িয়ে নেয়া হচ্ছে। চাউল, ডাল এবং ভোগ্যপণ্যে এ বাড়তি দাম নেয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে লোভী ব্যবসায়ীরা।
এমন সব অভিযোগের সঠিক তথ্য সরবরাহ করতে অনুরোধ করেছেন এডিএম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। নিয়মিত বাজার পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি অভিযান অব্যাহত রাখতে নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সমন্বনিত টিম মাঠে থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তারা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।