১৪ অক্টোবর, ২০২৫ | ২৯ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২১ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান

কক্সবাজার ভেটেরিনারি ক্যাম্পাসে কম খরচে হবে কাঁকড়া উৎপাদন

সফ্ট সেল বা নরম খোলসের কাঁকড়া চাষ করে সাফল্যের মুখ দেখছেন কাঁকড়া চাষীরা।
বিদেশে কাঁকড়া রপ্তানি করে কক্সবাজারের এক চাষী এ বছর প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণ পদকও বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু এই পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষে উৎপাদন খরচ বেশি পড়ছে। এতে কাঙ্খিত মুনাফা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কাঁকড়া চাষীরা। কীভাবে এই খরচ কমানো যায় তা নিয়ে এখন গবেষণা করছেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্য বিজ্ঞানীরা। কক্সবাজার শহরতলীর দরিয়ানগরস্থ ক্যাম্পাসে একটি পরীক্ষাগার স্থাপনের মাধ্যমে তারা চালাচ্ছেন এই নিবীড় গবেষণা। তারা আশা করছেন- এ বিষয়ে তারা শীঘ্রই সফল হবেন এবং কাঁকড়া চাষের বিস্তারের মাধ্যমে সমুদ্র সম্পর্কিত অর্থনীতির উন্নয়নে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবেন।
শুক্রবার কক্সবাজার ক্যাম্পাসের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ জানান- বাংলাদেশ মাৎস্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের আর্থিক সহায়তায় ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে ৩ বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প চালু হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার ক্যাম্পাসে এই গবেষণা চলছে। গবেষণা প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও দেশের বিশিষ্ট মাৎস্য বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. নুরুল আবছার খান। ¯œাতকের ইন্টার্ণশীপের শিক্ষার্থীরাও কোর্সের অংশ হিসাবে এ বিষয়ে কক্সবাজারে মাঠ পর্যায়ে এক মাস গবেষণা বা পড়াশোনা করছে।
প্রফেসর ড. নুরুল আবছার খান জানান- এই প্রকল্পের মেয়াদ হতে আরো প্রায় সাড়ে ১৯ মাস সময় রয়েছে। আশা করা যায়, এরআগেই গবেষণা থেকে কাঙ্খিত সাফল্য আসবে।
তিনি বলেন- নরম খোলসের কাঁকড়া উৎপাদনের সময় তাদের খাদ্য হিসাবে ছোট মাছ দেয়া হয়। এতে একদিকে খাদ্যের দাম বেশি পড়ছে, অন্যদিকে ছোট প্রজাতির মাছের উপর চাপ বৃদ্ধির কারণে সমুদ্রের জীববৈচিত্রও হুমকীর শিকার হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের মাধ্যমে সামুদ্রিক জীববৈচিত্রের ভারসাম্য রক্ষার জন্যই কাঁকড়ার জন্য সস্তায় একটি সুষম খাদ্য তৈরীর চেষ্টা করছেন তারা।
উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন- দেশে সমুদ্রসীমা বিজয়ের পর এর সুফল ঘরে তুলতে ব্লু-ইকোনমি বা সমুদ্র সম্পর্কিত অর্থনীতি উন্নয়নের উপর জোর দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এরই অংশ হিসাবে কক্সবাজারে ক্যাম্পাস ও গবেষণাগার স্থাপন করা হয়েছে। যাতে এ বিষয়ে দেশে দক্ষ জনশক্তি গড়ে ওঠে এবং জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নে দেশের সন্তানের ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি আরো জানান- এ অনুষদের শিক্ষার্থীরা মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানো বিশ্ববিদ্যালয়েও উচ্চতর পড়াশোনা ও গবেষণার সুযোগ পাচ্ছে। এভাবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এবিষয়ে দেশেই দক্ষ জনশক্তি গড়ে ওঠবে বলে আশা করেন তিনি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।